শেরপুর প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে একটি বাড়িতে ১৩ দিন আটকে রেখে এক নারীকে (৪০) একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ওই নারী শেরপুর থানায় মামলা করেছেন। ওই নারীর দাবি, সুমন সরকার (২৫) নামের এক তরুণ তাঁকে বিয়ের কথা বলে উপজেলার একটি বাড়িতে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন।
অভিযুক্ত সুমন সরকারের বাড়ি শেরপুর উপজেলায়। পেশায় তিনি মুদিদোকানি। মামলা বাদীর বাড়ি একই উপজেলায়।
মামলার এজাহার ও ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। এরপর প্রায় দুই মাস আগে সুমনের সঙ্গে মুঠোফোনে ওই নারীর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের কথা বলে সুমন ওই নারীকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নেন। ওই সময় সুমনের বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না।
ওই নারী বলেন, সুমন তাঁকে বলেছিলেন, তিনি (সুমন) অবিবাহিত। তবে সুমনের বাড়িতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, সুমন বিবাহিত। সেখানে যাওয়ার পর সুমন তাঁর (নারী) মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। তাঁকে ১৩ দিন আটকে রেখে সুমন একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ১২ মার্চ রাতে ওই নারী বিয়ের দাবি জানালে সুমন তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
অভিযুক্ত সুমন এ ঘটনার পর থেকে পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই অভিযোগের বিষয়ে সুমনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিথুন সরকার বলেন, শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে আজ রোববার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, মামলার একমাত্র আসামি সুমন সরকারকে গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার