অনলাইন ডেস্ক:
সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সৌদির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বা চিকিৎসা নিয়েছেন ১৬ জন বাংলাদেশি। বুধবার (২৯ মার্চ) রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এই ১৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে আবহা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সালাহউদ্দিন, ভোলার বোরহানউদ্দিনের আল আমিন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরার মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার জুয়েল, মাগুরার শালিকার আফ্রিদি মোল্লা, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের মো. রিয়াজ। এই হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন রানা ও মো. সেলিম।
সৌদি-জার্মান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন কুমিল্লার লাকসামের দেলোয়ার হোসাইন। এই হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন হোসাইন আলী ও মোহাম্মদ কুদ্দুস।
মাহায়েল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার মুরাদনগরের ইয়ার হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের মো. জাহিদুল ইসলাম, মাগুরার মোহাম্মদপুরের মিজানুর রহমান।
আসির জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন যশোরের মো. মোশাররফ হোসাইন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মক্কাগামী বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনই বাংলাদেশি নাগরিক।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে বাংলাদেশি যাত্রী ছাড়াও অন্যান্য দেশের ১২ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদির দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় একটি সেতুতে যাত্রীবাহী একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে সেটি উল্টে যায় এবং আগুন ধরে যায়। হতাহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন। ব্রেকজনিত সমস্যার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দুর্ঘটনার পর রেড ক্রিসেন্ট দলসহ জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতের উদ্ধার করে পাশের হাসপাতালে পাঠান। একইসঙ্গে তারা এলাকাটি ঘিরে ফেলে।
রমজান শুরু হলে সৌদি আরবে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ঘটনাটি পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় হজ ও ওমরাহ পালনকারী যাত্রীদের নিরাপদে পরিবহনকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছে।
এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে মদিনার কাছে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সে সময় ৩৫ জন বিদেশি নাগরিক নিহত হন। একইসঙ্গে আহত হয় চারজন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার