
স্টাফ রিপোর্টার:
ক্বীন ব্রীজের পাশে খুনের ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। ছিনতাইয়ে রাজি না হওয়া এবং পুলিশকে জানিয়ে দেয়ার দিতে চাওয়াতেই ভিকটিম ডালিম খুন হন বলে জানিয়েছে র্যাব। হত্যা মামলার প্রধান আসামী শেখ মনির গ্রেফতারের পর র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানাধীন হেতিমগঞ্জ কতলাপুর দক্ষিন পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী শেখ মনির ওরফে কালা মনির (৩০) কে গ্রেফতার করে র্যাব। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার কোতয়ালপুর গ্রামের শেখ খলিল মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে র্যাব জানায়, ভিকটিম ডালিম মিয়া ঘটনার সাথে জড়িতদের পূর্ব পরিচিত। অপরাধীরা চোর-ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা সব সময় ডালিমকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার জন্য প্ররোচিত করতো। গত ০৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্বীন ব্রীজ এলাকায় তারা ফের ডালিম মিয়াকে অপরাধমূলক কাজ করার কথা বললে সে রাজি না হয়ে অপরাধের কথা পুলিশকে জানিয়ে দিবে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীরা তার উপর অতর্কিতভাবে আক্রমন করে। আক্রমনকালে বিবাদীদের মধ্যে একজন ডালিমকে পেছন থেকে ধরে রাখে এবং মামলার ১নং আসামী শেখ মনির ভিকটিমের বাম পায়ের উরুতে চাকু ধারা আঘাত করলে গুরুতর কাটা জখম হয়। বাকিরাও তাদের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিম চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন ডালিমকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে মৃত্যুবরন করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে এসএসপি, সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামীকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার