চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সেলামত উল্যাহ (৩৫) নামে এক আইনজীবীর সহকারীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
তার বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার তারাপল্লা প্রধানিয়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, তারাপাল্লা গ্রামের প্রধানিয়াবাড়িতে জায়গাসংক্রান্ত বিরোধ চলছে দুপক্ষের মধ্যে। এ নিয়ে রবিউল আলমের ছেলে সেলামত উল্লাহর সঙ্গে প্রতিপক্ষ একই বাড়ির আমির হোসেনের ছেলে কাউসারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে কাউসার সেলামতকে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে থাকে। এতে সেলামত গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তামিম তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
ছালামতের বাবা রবিউল হাসপাতালে মৃত্যুর খবর শুনে হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠেন। তিনি জানান, ওই বাড়ির তাদের একটি নালিশি জায়গায় প্রতিপক্ষ বালু ফেলছিল। এ সময় তার ছেলে সালামত চাঁদপুর থেকে এসে তা দেখে প্রতিপক্ষের কাউসারকে বাধা দেয়। একপর্যায়ে কাউসার ও তার সহযোগী মিলে তার ছেলে সেলামতকে এলো পাথাড়ে কিল ঘুষি মারে। এতে সে গুরুতর আহত হলে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে। তখন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি জায়গা নিয়ে তাদের মামলা চলছিল। শনিবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন ওই স্থানে বালু ফেলালে সেলামত বাধা দেয়। একপর্যায়ে সেলামতকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে আহত করে। এলাকাবাসী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি জোবায়ের সৈয়দ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর প্রেরণ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, সেলামত আজ সকালে চাঁদপুর থেকে বাড়ি আসছিল। বাড়িতে এসে হামলার শিকার হয়। সে চাঁদপুর আদালতে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে রয়েছেন। ছয় মাস আগে তিনি ফুলছোঁয়া গ্রামে বিয়ে করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার