
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের হয়রানি রোধে এবং বিভিন্ন অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন বিমানবন্দরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এই অভিযানে চারজনকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং গত দুই সপ্তাহে পাঁচজনকে আটক করে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে কর্মরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এমদাদুল হক শরীফ।
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আগদ যাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দরের লোডার পরিচয় দিয়ে টাকা দাবিসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিলো। তাই আমরা বিমানবন্দরের ক্যানোপি ও কার পার্কিং এলাকায় নিয়মিত অভিযান শুরু করি। এতে গত দুই সপ্তাহে পাঁচজনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।’
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের লাগেজ টার্মিনাল ভবন থেকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য দুইটি প্রতিষ্ঠান মিট এন্ড গ্রিট সার্ভিস হিসেবে কাজ করছে। যেকোন যাত্রীর লাগেজ গাড়ী পর্যন্ত পৌঁছানো বা গাড়ীতে ওঠিয়ে দেয়ার প্রয়োজন হলে নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে তারা সার্ভিসটি নিয়ে থাকেন। যেসব যাত্রীর এই সার্ভিসের প্রয়োজন হয়না বরং নিজেই ট্রলিতে লাগেজ নিয়ে টার্মিনাল থেকে গাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন, তাদের টার্গেট করে পিছু ধরে বিমানবন্দরের লোডার পরিচয়ধারী ৩-৪ জনের একটি টিম। গাড়ীতে লাগেজ ওঠানোর পরপরই এই তিন চারজন মিলে অন্যায্য অর্থ দাবি করে। দাবীকৃত নগদ টাকা না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। এসব কর্মকাণ্ড ঘটাতে ৪০-৫০ সদস্যের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ বলেন, ‘যাত্রী হয়রানী বন্ধে আমাদের সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালিত হয়। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এবং গত ২ সপ্তাহে প্রায় ৫জনকে আটক ও জরিমানা করা হয়েছে।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার