
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জের বহুল আলোচিত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল হাফিজকে তিন দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শাফায়াত ছালাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে দিরাই থানা পুলিশ আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিল।
গ্রেফতার হওয়া আব্দুল হাফিজ শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জমিয়ত নেতা সৈয়দ তালহা আলমের অনুসারী এবং জমিয়তের শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী নিখোঁজ হন। এরপর তিন দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে দিরাই উপজেলার শরীফপুর গ্রামের পাশে মরা সুরমা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুবি বেগম ৭ সেপ্টেম্বর দিরাই থানায় আব্দুল হাফিজকে প্রধান আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩–৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তের অংশ হিসেবে ৯ সেপ্টেম্বর ভোরে সিলেট শহরের টিলাঘর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আব্দুল হাফিজকে গ্রেফতার করে। পরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিকেল চারটায় তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামির গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে আদালত চত্বরে জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, বিশেষ করে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
আসামি হাফিজকে আদালতে আনার সময় উত্তেজিত জনতা তার দিকে ডিম ও পানির বোতল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাওলানা মুশতাক আহমদ হত্যার মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ সুনামগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. আকবর হোসেনও মামলার তদন্তে অগ্রগতির কথা নিশ্চিত করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার