
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারকে আওয়ামী লীগ কর্মী পরিচয়ে ফোন করার পর তা ভাইরালের ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফোনকারীর উদ্দেশ্য, কেন কেটে কেটে অংশ অংশ ভাইরাল করা হচ্ছে, এর পেছনে কে বা কারা জড়িত, পুরো বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মনে করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসএমপির গণমাধ্যম কর্মকর্তা মো, সাইফুল ইসলমা সিলেটভিউর সাথে আলাপকালে একথা বলেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসএমপি কমিশনারের সাথে এক ব্যক্তির ফোনালাপ ভাইরাল হয়।
ওই ফোনকলে তিনি জানতে চেয়েছেন, ১৬ বছর আমরা আপনার কি ক্ষতি করেছি যে, আপনি প্রতিদিন দু’জন করে আওয়ামী লীগ কর্মী ধরার কথা বলেছেন। আপনারা পুলিশ হত্যার বিচার না চেয়ে আমাদের পেছনে লেগে আছেন। আমরা কি ক্ষতি করেছি?
এসময় এসএমপি কমিশনার তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন তৃণমূল কর্মী বলে নিজের পরিচয় দিয়েছেন।
‘সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে থাকতে না পারে’- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের এমন এক ‘নির্দেশনা’ গত কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরে পুলিশ কমিশনার সেটিকে শব্দগত ভুল বলে উল্লেখ করলেও তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মী পরিচয়ে ফোনটি এসেছে এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে। কলটির রেকর্ড এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল। জানা যায়, গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনার বিশেষ অংশ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেট মহানগর এলাকায় কোনো আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের লোকজন প্রকাশ্যে যাতে এলাকায় না থাকতে পারে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সব অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এসি, এডিসি ও ডিসিরা এ বিষয়ে তদারকি করবেন।’
পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরু হলে মহানগর পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন।
কমিশনারের নির্দেশনা নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যক্তি ফেসবুকে পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনা বলে একটি বক্তব্য লিখে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। প্রকৃত তথ্য হলো- পুলিশ কমিশনার অফিসারদের অভ্যন্তরীণ সভায় বলেছেন- ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। তারা প্রকাশ্যে যাতে কোনো মিছিল-মিটিং করতে না পারে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।’
ভাইরাল ফোন রেকর্ডের ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম বলেন, একজন নাগরিক কমিশনার স্যারকে ফোন দিতেই পারেন। তিনিও তার সৌজন্যতা দেখিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু সেই আলোচনাটা যখন কেটে কেটে অংশ অংশ করে কেউ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে তাহলে বুঝতে হবে তার উদ্দেশ্য সন্দেহজনক।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। খোঁজ করে দেখছি, কে কি উদ্দেশ্যে এটা করছে। তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার