স্পোর্টস ডেস্ক:
দুজন মিলেই বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন দলকে।৪০ রানেই ৩ উইকেট পড়ার পর সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সামনের দিকে।দুজনের ১৫৯ রানের জুটিতে সাকিব সেঞ্চুরি পেতে পেতেও পাননি, ৮৭ রানেই কাঁটা পড়েছেন টাইগার কাপ্তান। তবে দেখেশুনে খেলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের ১০ম টেস্ট সেঞ্চুরিতে ভর করেই বড় লিডের দিকেই ছুটছে বাংলাদেশ। ১৩৫ বলে সাদা পোশাকে নিজের ১০ম সেঞ্চুরি তুলে নেনে মুশফিক।
মিরপুরের শের-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারাল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নামেন মুশফিক। আগেরদিনের অপরাজিত মমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে দিনের শুরু করলেও মাত্র ৬ রান যোগ করেই ফিরে যান মমিনুল। এরপরই সাকিবে র সঙ্গে জুটি গড়ে মুশফিক দলকে নিয়ে যান লিডের দিকে।
দলীয় ৪০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপরই বাংলাদেশের মনে কিছুটা শঙ্কা বাসা বাধলেও তা আর বড় হতে দেননি সাকিব-মুশফিক। উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন সাকিব। মুশফিক ছিলেন ধীরস্থির। দুজন মিলে দুর্দান্তভাবে সামলেছেন আইরিশ বোলারদের।
সাকিবই আগ্রাসী ছিলেন বেশি, মারমুখী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। মুশফিকও একটু পরই পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরি। দুজনের জোড়া ফিফটিতে লিদের আসা নিয়েই লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
লাঞ্চ থেকে ফিরেও আগের ভঙ্গিতেই খেলতে থাকেন। তপবে বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশায় পুড়তে হয়েছে সাকিবকে। ব্যক্তিগত৮৭ রানেই উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন সাকিব। ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে ১৫৯ রানের জুটি।
সাকিব ফিরলেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন মুশফিক। মার্ক অ্যাডাইরকে বাউন্ডারি মেরে ১৩৫ বলে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। সাদা পোশাকে সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২২ সালে নবম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন মুশফিক। প্রায় এক বছর অপেক্ষার পর ক্যারিয়ারের ১০ম টেস্ট সেঞ্চুরি পেলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
মুশফিকের সেঞ্চুরিতেই বড় লিডের আশা দেখছে বাংলাদেশ। সাকিবের বিদায়ের পর উইকেটে আসা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়েই দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৮৪ রান। মুশফিক অপরাজিত আছেন ১১ রান নিয়ে, আর মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৪২ রান নিয়ে ব্যাট করেছেন লিটন।
বিস্তারিত আসছে…
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার