
স্টাফ রিপোর্টার:
সরকার আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে। এ অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্য থাকলে তারা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এছাড়া বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির কোনো পদে থাকা ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
আইন মন্ত্রণালয় সোমবার (৩ নভেম্বর) এই অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
এ অধ্যাদেশে আরও কিছু নতুন বিধান যুক্ত হয়েছে। আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামি এবার ভোট দিতে পারবেন না। দেড় দশক পর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোট ফিরেছে। সমভোট হলে পুনরায় ভোট গ্রহণ হবে। জোটের প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট দিতে হবে।
নির্বাচনে জামানত নির্ধারিত হয়েছে ৫০ হাজার টাকা, এবং দল আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যাবে।
আইটি সাপোর্টে পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি চালু থাকবে। নির্বাচনে অনিয়ম ধরা পড়লে পুরো আসনের ভোট বাতিল করা যাবে। এছাড়া এআই এর অপব্যবহার বা হলফনামায় অসত্য তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে নির্বাচনি অপরাধ ধরা হবে এবং নির্বাচিত হওয়ার পরও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন
অনুচ্ছেদ-২: সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী আইনশৃঙ্খলাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে; ২০০১ ও ২০০৮ সালের ভোটেও এমন বিধান ছিল।
অনুচ্ছেদ-৮: ভোটকেন্দ্র (পোলিং স্টেশন) প্রস্তুতির দায়িত্ব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার। তালিকা কমিশনের অনুমোদনের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।
অনুচ্ছেদ-৯: রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলে ইসিকে জানাতে হবে।
এ অধ্যাদেশের ফলে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা অন্য পদে থাকা ব্যক্তি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার