নৌকার প্রার্থী হতে ৯ নেতার দৌড়ঝাঁপ
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ২১ জুন। এটি হবে সিসিকের ৫ম নির্বাচন। এবার ভোট গ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এই নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে ৯ নেতা দৌড়ঝাঁপ ও তদবির শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল পেতে দুই জনের নাম আলোচিত হচ্ছে। এছাড়া মাঠে আছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক এ টি এম এ হাসান জেবুল, সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সাবেক মেয়র প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পুত্র আরমান আহমদ শিপলু, সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক এবং আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী। তবে তারা বলেছেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করবেন। অবশ্য দলীয় নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিসিক নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে কারো নাম ঘোষণা করেনি এখনো। এরমধ্যে আনোয়ারুজ্জামান নগরীতে ব্যাপক জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নগরীর চলমান উন্নয়ন কাজকে অপরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি ‘স্মার্ট সিলেট’ ও ‘গ্রিন সিলেট’ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে ইসির তফসিল ঘোষণার এক দিন আগেই সিসিকের বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী লন্ডনে ছুটে যাওয়ায় অনেকের মনে প্রশ্ন ও কৌতূহল দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েক দিন আগে মেয়র আরিফ হৃদরোগ রোগে আক্রান্ত হলে তার হার্টে দুটি রিং লাগানো হয়। নগরবাসীর প্রশ্ন তিনি কি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন, না সিলেটি কমিউনিটিসহ অন্যান্য স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করতে গেলেন। তিনি কি আদৌ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন—এটা অনেকের প্রশ্ন। যদিও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা রয়েছে বিএনপির। তবে কর্মী-সমর্থকদের চাপে শেষ পর্যন্ত আরিফুল হক মেয়র পদে প্রার্থী হতে পারেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
নির্বাচন
জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে। তার ছবি সংবলিত সাইনবোর্ড-ব্যানারও সাঁটানো হয়। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান হাতপাখার প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র হিসেবে আরও কয়েক জন প্রার্থী মাঠে নামবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সিসিকের ৪র্থ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। ধানের শীষে আরিফের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯২ হাজার ৫৯৩। আর কামরান নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৬ হাজার ৩৯৭ ভোট।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার