
চাঁদপুর প্রতিনিধি :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চাঁদপুরে প্রার্থীরা এখন গ্রামীণ জনপদে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। ইতোমধ্যে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর জেলার পাঁচটি আসনেই সরব হয়ে উঠেছে প্রচারণা। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও সমানতালে মাঠে রয়েছে। তবে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীদের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, ‘চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে যে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হয়েছে, তারাই চূড়ান্ত প্রার্থী। তাদের নিয়েই মাঠে নেমেছে নেতাকর্মীরা। পিছু হটার সুযোগ নেই তাদের বিজয় নিশ্চিত করতেই আমরা শেষ পর্যন্ত কাজ করব।’
জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান জানান, ‘জামায়াতের পাঁচজন প্রার্থী প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পরে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। অন্য দলের সঙ্গে সমঝোতা না হলে তারাই চূড়ান্ত প্রার্থী হবেন।’
চাঁদপুর-১ (কচুয়া): এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলন। এই আসন থেকে তিনি এর আগে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ইসলামিক স্কলার মুহাদ্দিস আবু নছর আসরাফী। তিনি এই প্রথম নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি ওমর ফারুক কাসেমী। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯শ’ ৩৩জন।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ): এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. জালাল উদ্দিন। তিনি ২০১৮ সালে এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুবিন। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি। ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি মানসুর আহমেদ সাকি। তিনি যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ৯শ’ ৬জন।
চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর): এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। তিনি ২০১৮ সালে এই আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রার্থী দেয়া হয়েছে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়াকে। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী হলেন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. জয়নাল আবেদীন। গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আছেন সাংবাদিক মো. জাকির হোসেন। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার ৮১১জন।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ): এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হারুনুর রশিদ। তিনি ২০০৮ সালে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজী। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তার জন্য এই প্রথম। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আল্লামা মকবুল হোসাইন। তিনি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু সম্পাদক। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৪৬ হাজার ৪৪জন।
চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ): এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মমিনুল হক। তিনি এর আগে ২০০৮ সালে এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এক লাখের অধিক ভোট পান। এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক মো. আবুল হোসাইন। তিনি শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। তিনি সংগঠনের হাজীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৩শ’ ৬৫জন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার