স্টাফ রিপোর্টার:
হঠাৎ জানা গেলো, আগামী সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১০ জন নয়, লড়ছেন মোট ১১ জন। এতদিন ১০ জনের নাম গণমাধ্যমে আসলেও একজনের নাম যেন আড়ালেই রয়ে গিয়েছিলো। তিনি হচ্ছেন- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গত রোববার (৯ এপ্রিল) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করেন দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। প্রথম দিন সিলেটের ৫ আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে শেষে তারিখ (১২ এপ্রিল পর্যন্ত) আও ৬ জন নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন।
এই ১১ জন হলেন- যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট শাখা সিলেটের ডেপুটি কমন্ডার ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, যুগ্মসম্পাদক এটিএমএ হাসান জেবুল, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী ও ব্যবসায়ী-ক্রীড়া সংগঠক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম।
তবে কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম একরকম ‘নিরবেই’ মনোনয়নত্র সংগ্রহ করে জমা দেন। ‘নিরবে’ কেন করেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) তিনি বলেন- ‘জননেত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যদি মনে করেন যে- সিলেটবাসীর সেবায় আমি যোগ্য তবে আমাকে মনোনয়ন দেবেন। সুতরাং এখানে সাড়ম্বরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ কিংবা জমা দেওয়া আমি ঠিক মনে করিনি।’
গত ১১ এপ্রিল তিনি লোকমারফত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তালিকায় সিলেটে নৌকাপ্রত্যাশীদের তালিকায় নাম নেই মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরীর। তিনি ছাড়া বাকি ১০ জনের নাম দিয়ে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও ১০ এপ্রিল মনোনয়ন কিনেছেন বলে তিনি নিজে নিশ্চিত করেছিলেন।
এ বিষয়ে প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী শুক্রবার বিকেলে বলেন- ‘আমার ভোটার আইডির একটি নামে একটু সমস্যা ছিলো। তাই প্রথমে আমার মনোনয়নপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিলো। তবে আমি সংশোধনী আবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজ জমা দেওয়ায় পরে তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু আমার মনোনয়ন দ্বিতীয়বার গ্রহণ করার আগেই ১০ জনের তালিকা করা হয়ে গিয়েছিলো। সেজন্য তালিকায় আমার নাম নেই।’
তিনি জানান- তাঁর মনোনয়নপত্রটি হাই কমান্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে দলের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সদরুজ্জামানকে আশ্বস্ত করেছেন।
জানা গেছে, আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় সিলেটেরও নৌকার মাঝি নির্ধারণ করা হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার