স্টাফ রিপোর্টার:
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল। ঢাকার বনানী থেকে গাড়ি চালক আনসার আলীসহ ‘নিখোঁজ’ হন বিএনপির তৎকালীন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম. ইলিয়াস আলী। এর মধ্যে কেটে গেছে ১১ বছর।
ইলিয়াস আলী কোথায়, কেমন আছেন দীর্ঘ এই সময়েও তার কোন সন্ধান দিতে পারেনি কেউ। তবে এখনো একেবরাইে নিরাশ নন সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাকে ফিরে পাওয়ার তীব্র আশা নিয়ে গেলো ১১ বছর ধরে তার অপেক্ষায় আছেন তারা।
বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন, ইলিয়াস বেঁচে আছেন এবং সরকারের কাছেই আছেন। সরকারের সদ্বিচ্ছা কিংবা সরকার পরিবর্তন হলেই ইলিয়াস ফিরে আসবেন তার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের মাঝে। সেই আশাতেই এবার সিলেট জেলা বিএনপির কমিটিতে প্রথম সদস্যও রাখা হয়েছে তাকে।
ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর তার সন্ধান দাবিতে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে ওঠে। বিশেষ করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সিলেট। ইলিয়াস আলীর এলাকা বিশ্বনাথে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের তিনকর্মী। ধীরে ধীরে আন্দোলনের তীব্রতায় ভাটা পড়লেও ইলিয়াসকে ভুলে যাননি সিলেটের নেতাকর্মী ও তার এলাকার লোকজন। ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের ১১ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। দীর্ঘ এই সময়ে তার ভাগ্যে কি ঘটেছে তা আজও এক অমীমাংসিত রহস্য হয়ে আছে। তবে এখনো ইলিয়াসের ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন তার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা।
তাঁর সন্ধান দাবিতে ‘নিখোঁজের’ ১১ বছরপূর্তিতে রবিবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা বিএনপি। এছাড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলও সমাবেশ করেছে।
ইলিয়াসের ‘নিখোঁজ’ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, ‘শুধু বিএনপি নয়, সিলেটের সাধারণ মানুষও মনে করেন ইলিয়াস আলী সরকারের হেফাজতে আছে। কারণ দেশের কোন নাগরিক নিখোঁজ হলে তার সন্ধান দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যেহেতু সেটা করেনি তাতে আমরা মনেকরি সরকারই ইলিয়াস আলীকে গুম করে রেখেছে। ইলিয়াস আলী আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এই প্রত্যাশায় তাকে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১নং সদস্য রাখা হয়েছে।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার