আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি:
আজমিরীগঞ্জে থানার এএসআই ইউসুফের হাতে ডেইজি আক্তার নামে এক মহিলা হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় পৌরসভাস্থ শরীফ নগর (নতুন বাড়ী) এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় ১৪ বছর পুর্বে পৌরসভার শরীফ নগর কামার হাটীর বাসিন্দা বক্কর মিয়ার পুত্র রাজু মিয়ার সাথে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে হয় একই এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার কন্যা ডেইজি আক্তারের। বিয়ের পর একে একে তিন সন্তানের অভিভাবক হন ডেইজি আক্তার এবং রাজু মিয়া। কিন্তু হঠাৎ করেই ভালবেসে বিয়ে করা জেইজি ও রাজুর সংসারে হানা দেয় পরকীয়া। রাজু মিয়া পৌরসভার আজিমনগর (জুম্মাহাটী)র এক মেয়ের সাথে পরকীয়া লিপ্ত হন। আর এতেই ডেইজি এবং রাজুর সংসারে ভাঙ্গনের সুর উঠে। বিষয়টি নিয়ে ডেইজি আক্তার ২০১৯ সালের ৩রা জুন আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগের বিষয়টি তৎকালীন ওসি উভয় পরিবারের লোকজনের সমন্বয়ে শালিশে মিমাংসা করে দেন। কিছুদিন পর রাজু মিয়া আবারো মারধর শুরু করলে ডেইজি আক্তার ২০২২ সালের ৫ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন তখনও বিষয়টি উভয় পরিবারকে নিয়ে মিমাংসা করে দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমী। বিগত কয়েক মাস পুর্বে প্রথম স্ত্রী ডেইজির অনুমতি না নিয়েই পরকীয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করেন রাজু। এরই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের গত ২৭ মার্চ ডেইজি আক্তার বাদী হয়ে আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং (সিআর ২৬/২৩ আজমিরীগঞ্জ) মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত প্রতিমাসের ৫ তারিখ ডেইজি আক্তার ও তার সন্তানদের ভরপোষণের জন্য ১৫ হাজার টাকা দেয়ার জন্য রাজু মিয়াকে নির্দেশ প্রদান করেন।
একই সাথে ডেইজি আক্তারকে রাজু মিয়ার বসত ঘরে থাকার অনুমতিও প্রদান করেন আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ডেইজি তার স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
বুধবার দুপুরে রাজু মিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজমিরীগঞ্জ থানার এএসআই ইউসুফ আলী তার বাড়িতে গিয়ে ডেইজিকে হুমকি ধামকি ও অশালীন আচরণ করেন।
ডেইজি আক্তার জানান, চলতি মাসে রাজু ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ৫ হাজার টাকা আদালতে জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়িতে আমার সাথে কথা-কাটাকাটি হয় এবং আমাকে মারধোর করেন। বুধবার রাজু থানার এএসআই ইউসুফের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের বাড়িতে পাঠায়। এ সময় এএসআই ইউসুফ আমাকে অকথ্য ভাষায় কথা বার্তা বলেন এবং আমাকে মানসিক ভাবে হেনেস্থা করেন।
এ বিষয়ে এএসআই ইউসুফ বলেন, আমি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে যাই তবে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি৷
ডেইজি আক্তারের প্রতিবেশী দিনা আক্তার বলেন, পুলিশের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমরা তার বাড়ির সামনে যাই। এসময় উনি (এএসআই ইউসুফ) ডেইজি আক্তারকে অকথ্য ভাষায় কথা বার্তা বলেন। মহিলাদের সাথে পুলিশের এমন ব্যবহার দেখে আমরা হতভম্ব।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.মাসুক আলী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার