জয়পুরহাট প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটে নিজের স্ত্রী-সন্তান হত্যায় রেজাউল করিম ভাদুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল করিম ভাদু (৪৩) জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া-নয়াপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৫-১৬ বছর আগে করিম ভাদুর সঙ্গে আঙ্গুরী বিবি ওরফে সোনাভানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী আঙ্গুরীর সঙ্গে রেজাউল করিম ভাদুর বনিবনা ছিল না। এছাড়া তার নামে পূর্বের দুটি হত্যা মামলা ছিল। তাই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ২০০৫ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে তার স্ত্রী ও ৫ বছরের ছেলে হিটলারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে। পালিয়ে যাওয়ার সময় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর বাজারে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় আঙ্গুরী বিবির ভাই বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে মামাকে হত্যার দায়ে ঘাতক ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ নূর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন জয়পুরহাটের সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।
জানা গেছে, ২০০১ সালের ১৮ মে রাতে জয়পুরহাটের সদর উপজেলার পারুলিয়া-সাকিন এলাকার বাড়ি থেকে মামা আব্দুর রশীদকে গল্প করার জন্য বাহিরে ডেকে নিয়ে যায় ভাগ্নে আলাউদ্দীন। পূরানাপৈল রেললাইনের পাশে তাকে মারপিটের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন ভাগ্নে আলাউদ্দীনসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। পর দিন সকালে রেললাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ)। এ ঘটনায় ২৩ মে নিহতের স্ত্রী সান্তাহার জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার