স্টাফ রিপোর্টার:
চলমান লোডশেডিংয়ে বিয়ানীবাজারের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গ্রাহকদের দাবি, একঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে লোডশেডিং থাকে দেড়ঘণ্টারও বেশি। এতে গরমে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষার্থীদের।
লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকছে।
সরজমিন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডের সামনে মেঝেতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন স্বজনরা। গরমে অসহ্য যন্ত্রণায় রয়েছেন বলে জানান রোগী ও তাদের সাথে থাকা অন্যান্যরা।
বিয়ানীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের অধীনে প্রায় ২৩ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। প্রতিদিন উপজেলায় গড়ে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ৪-৫ মেগাওয়াট। এতে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলায় দিন-রাতে সমানতালে লোডশেডিং হয়। পৌরশহরের কসবা এলাকায় বুধবার মধ্যরাত ১২টায় বিদ্যুৎ আসলেও ১৩ মিনিট পর আবার ফের লোডশেডিং শুরু হয়। যা প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী চলে। পৌরশহরের চেয়ে আরো খারাপ গ্রামের পরিস্থিতি।
পৌরসভার বাসিন্দা রহিমা বেগম ও শিউলি আক্তার জানায়, শিশুদের নিয়ে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। রাতে ঠিকমতো ঘুমানো যাচ্ছে না। শরীরে ঘামাছি উঠছে। সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের রোগীর স্বজন আয়েশা বেগম ও শাহিনুর বেগম জানান, দুদিন ধরে তারা হাসপাতালে রয়েছেন। চিকিৎসা ভালো হলেও প্রচণ্ড গরমে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। একঘণ্টা বিদ্যুৎ দিলে দেড় দুই ঘণ্টা আর আসে না। জেনারেটরে ধীরে ধীরে পাখা চলে। শরীরে বাতাস লাগে না। শিশুদের সুস্থ করতে এসে এখন তারাই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
স্থানীয় পোশাক ব্যবসায়ী রাকিব হোসেন, জামাল উদ্দিন ও আবদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিঘণ্টায় লোডশেডিং হয়। ঈদ সামনে দোকানে মালামাল ওঠানো হয়েছে। অন্ধকার দোকানে ক্রেতারা প্রবেশ করেন না। আইপিএসের ব্যাটারিতে ঠিকমতো চার্জ হয় না। অসহনীয় গরমে দোকানে বসাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম ভজন কুমার বর্ধন বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় আমরা কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি। এজন্য লোডশেডিং বেড়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার