কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার সি আলিফ হোটেলের কক্ষ থেকে সুমা দে ও তাঁর আট মাস বয়সী মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী জেবিন দেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেবিন স্বীকার করেছেন, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধে ও মেয়েকে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছেন।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সি আলিফ হোটেলের একটি কক্ষ থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের পর জানা যায়, ওই নারীর স্বামী জেবিন তাঁদের আরও দুই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে গেছেন। এর পর তাঁকে আটক করতে নিকটবর্তী বিভিন্ন থানায় খবর পাঠায় পুলিশ। এক পর্যায়ে জানা যায়, জেবিন চট্টগ্রামে আছেন। পরে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে কক্সবাজার নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার তিন মেয়ে, স্ত্রীসহ কক্সবাজার বেড়াতে এসে হোটেলে ওঠেন জেবিন। এর মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে জেবিনের প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। শুক্রবার সকালে ঝগড়ার এক পর্যায়ে জেবিন স্ত্রীকে মারধর করেন। এর পর গলাটিপে শ্বাসরোধ করে সুমাকে খুন করেন। এর পর ঘরে থাকা তাঁদের ছোট মেয়েকে হত্যা করেন বাথরুমে বালতির পানিতে চুবিয়ে।
এ সময় তাঁদের অন্য দুই মেয়ে সেই ঘরে ছিল না। জেবিন জানিয়েছেন, তাঁর বড় মেয়ে নবম শ্রেণিতে এবং মেজ মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। হত্যার পর দুই মেয়েকে বাঁশখালীতে নিজের গ্রামের বাড়িতে রেখে আসেন তিনি। এর পর চট্টগ্রাম এলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, জেবিনের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আরও তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য প্রয়োজনে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। সুমা দে ও তাঁর মেয়ের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার