Daily Jalalabadi

  সিলেট     শনিবার, ১৬ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের আগে পুলিশে বড় ধরনের পদোন্নতি

admin

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:৫৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:৫৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
নির্বাচনের আগে পুলিশে বড় ধরনের পদোন্নতি

স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরনের পদোন্নতি হচ্ছে পুলিশে। ইতোমধ্যেই অস্থায়ী বিশেষ পদ বা ‘সুপারনিউমারারি পদ’ সৃষ্টি করে পুলিশের ২৯০ কর্মকর্তাকে পুলিশ সুপার (এসপি) ও অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা অর্থবিভাগের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

 

তবে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে অতিরিক্ত আইজিপি গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ এবং উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে পদোন্নতির বিষয়টি। এসব পদে পদোন্নতির তালিকায় ৪৯ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।

 

এছাড়া নির্বাচনের আগে মাঠ পর্যায়ের বেশকিছু কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ২ আগস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান তিনজন কর্মকর্তা।

 

সুপারনিউমারারি পদ হলো- সংখ্যাতিরিক্ত পদ। এতে কর্মকর্তা একই পদে অধিষ্ঠিত এবং পদোন্নতির পরেও একই দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

 

‘সুপারনিউমারারি পদ’ সৃষ্টি করে পদোন্নতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনে পদোন্নতি প্রক্রিয়া ঝুলে থাকা বিষয়ক সমস্যা সমাধানের জন্য ‘বিশেষ ব্যবস্থার’ অধীনে এই পদগুলো তৈরি করা হয়েছে। যদি ‘সুপারনিউমারারি’ পদ সৃষ্টি না হয় তাহলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাবেন না।’

 

নির্বাচনের আর চার মাস বাকি। এমন সময় পুলিশ ও প্রশাসনে পদোন্নতি এবং বদলি নিয়ে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির নানা অভিযোগ রয়েছে।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পুলিশের পদোন্নতি একটি রুটিনমাফিক প্রক্রিয়া। অনেক পুলিশ কর্মকর্তা উপযুক্ত হওয়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি পাচ্ছিলেন না। তাদের জন্যই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিশেষ এই পদোন্নতির ব্যবস্থা করেছে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো যোগসূত্র নেই। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

 

অস্থায়ী ‘সুপারনিউমারারি পদ’ সৃষ্টি করে পুলিশের ২৯০ কর্মকর্তাকে পুলিশ সুপার এসপি ও অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

 

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- নতুন সৃষ্ট পদের মধ্যে ১৪০ জনকে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং ১৫০ জন ‘পুলিশ সুপার’ পদে পদোন্নতি পাবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই আদেশ অবশ্যই অর্থ বিভাগ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এই ‘সুপারনিউমারারি পদের মেয়াদ হবে পদ সৃষ্টির দিন থেকে এক বছর।

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, পুলিশ সদরদপ্তর থেকে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (গ্রেড ১) পদে ১৫, অতিরিক্ত আইজি (গ্রেড ২) পদে ৩৪, ডিআইজি পদে ১৪০, অতিরিক্ত ডিআইজি পদে ১৫০ এবং এসপি পদে ১৯০ জনের পদোন্নতির অনুরোধ পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত ডিআইজি ও এসপি পদে ২৯০ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

তবে নির্বাচনের আগে পদোন্নতি ও বদলিসহ পুলিশ ও প্রশাসনকে প্রায় সব সরকারই ঢেলে সাজিয়ে থাকে মনে করছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বদলি বা পদোন্নতির বিষয়টি যেন এমন না হয় যে, পুলিশ বা প্রশাসন ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।’

 

শুধু পুলিশেই নয়, ইতোমধ্যে প্রশাসনেও বড় ধরনের পদোন্নতি হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর একযোগে ২২১ জন উপসচিব পদোন্নতি পেয়ে যুগ্মসচিব হয়েছেন। নয় মাস আগে অর্থাৎ গত নভেম্বরে যুগ্মসচিব পদে বড় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। তখন ১৭৫ জন উপসচিবকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্মসচিব করা হয়।

 

প্রশাসনে যুগ্মসচিবের পদ ৫০২টি। এই পদে এখন কর্মরত ৭২৫ জন। নতুন পদোন্নতির পর যুগ্মসচিবের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৪৬ জনে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন