আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে ‘হাইলি ক্লাসিফায়েড’ তথ্য ফাঁস করে ২০১৩ সালে সারা বিশ্বে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন এডওয়ার্ড স্নোডেন। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটার তার স্ত্রী লিন্ডসে মিলের অ্যাকাউন্ট ব্লক করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।
এডওয়ার্ড স্নোডেন জানান, তার স্ত্রী লিন্ডসে মিল তাদের শিশুকে কোলে নিয়ে একটি নগ্ন ছবি পোস্ট করেছিলেন। ছবিটি অনেক আগে আপলোড করা হলেও এই ছবির কারণেই সম্প্রতি তার স্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে বলে এক টুইটে অভিযোগ করেন স্নোডেন।
এ বিষয়ে সরাসরি টুইটার সংস্থার বর্তমান মালিক ইলন মাস্কের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্নোডেন। মাস্কের উদ্দেশ্যে টুইটে তার প্রশ্ন, ‘ইলন মাস্ক, এটা কি আপনার পর্নোগ্রাফি বলে মনে হচ্ছে? হলমার্ক কার্ডে থাকতে পারে এমন ছবিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কোনো যন্ত্র যদি আপনার কাছে থেকে থাকে, তাহলে সেই যন্ত্রের অ্যালগরিদম ফিরিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।’
একই থ্রেডের অন্য এক টুইটে এডওয়ার্ড স্নোডেন লিখেছেন, ‘একটি পুরোনো শিশুর ছবির জন্য টুইটার এইমাত্র আমার স্ত্রী লিন্ডসে মিলের অ্যাকাউন্টটি লক করেছে। যে ছবিটি নিয়ে এমনকি মেরুদণ্ডহীন ইনস্টাগ্রামেরও কোনো সমস্যা নেই। বাবা-মায়ের কি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? শিশুদের নিতম্ব, আনন্দ করে স্নান করার ছবি ইত্যাদিও এখন নিষিদ্ধের তালিকায় পড়বে?’
টুইটারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, নগ্নতা এবং প্রাপ্তবয়স্ক পর্নোগ্রাফিক বিষয়বস্তু প্রচারের বিরুদ্ধে টুইটারের যে নীতি রয়েছে, সেই নীতি লঙ্ঘন করেছে এই ফটোগ্রাফটি। আর সেই কারণেই লিন্ডসের অ্যাকাউন্টটি ব্লক করা হয়েছে। টুইটারের এই নীতি অনুযায়ী ‘লাইভ ভিডিওতে বা প্রোফাইল হেডারে, ব্যানারের ছবি বা কমিউনিটি কভার ফটোতে গ্রাফিক মিডিয়া পোস্ট বা হিংসাত্মক বা প্রাপ্তবয়স্ক নগ্নতা এবং যৌন আচরণ শেয়ার করা যায় না।’
স্নোডেনের এই টুইট নতুন করে সংস্থার এই নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। মন্তব্যে এই ছবিটি নিয়ে নেটিজেনদের দ্বিধাবিভক্ত মতামত পাওয়া গেছে। এক দল বলেছেন এই ছবিটি পোস্ট করা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আরেক দলের মতে, ছবিটি কোনো পাবলিক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা উচিত হয়নি। কারণ এটির অপব্যবহার হতে পারে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার