Daily Jalalabadi

  সিলেট     শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ২৭ মার্চ পর্যন্ত অভিযোগ গঠন নয় : আপিল বিভাগ

admin

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০১:৩১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০১:৩১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ২৭ মার্চ পর্যন্ত অভিযোগ গঠন নয় : আপিল বিভাগ

স্টাফ রিপোর্টার:
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ২৭ মার্চ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ গঠন করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.নুরুজ্জামান ননীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ২৮ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।

২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।

 

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন