Daily Jalalabadi

  সিলেট     রবিবার, ১৭ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ১৪ জয়

admin

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:১৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:১৪ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ১৪ জয়

স্পোর্টস ডেস্ক:
৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। আজ (৭ অক্টোবর) আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামচ্ছে সাকিব বাহিনী। এবার বিশ্বকাপে টাইগারদের নিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশা অনেক। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে ঐ টুর্নামেন্টে খেলা বাংলাদেশের ম্যাচগুলোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

টাইগাররা প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ। এশিয়া কাপের ঐ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। সব দলেরই স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপে খেলার। টাইগারদের সে স্বপ্ন পূরণ হয় ১৯৯৯ সালে। ঐ বছর চতুর্থ বারের মতো ইংল্যান্ডে বসেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পুরস্কার হিসেবে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এরপরের সবকটি বিশ্বকাপ আসরেই খেলেছে টাইগাররা। অংশ নেওয়া ৬টি আসরের মধ্যে সবচেয়ে হতাশার ছিল ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ঐ বিশ্বকাপে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ দল। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচে জয় পেয়েছে টাইগার বাহিনী।

প্রথম- স্কটল্যান্ড, ১৯৯৯:

প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে গিয়েই দারুণ চমক দেখায় টাইগাররা। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ঐ বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা। এডিনবার্গে অনুষ্ঠিত ঐ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে আমিনুল ইসলাম বলবুলের দল। অপরাজিত ৬৮ রানের নজরকাড়া এক ইনিংস খেলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। দল যখন ২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে তখন ষষ্ঠ উইকেটে নান্নুর সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন নাইমুর রহমান দুর্জয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। জবাব দিতে নেমে স্কটিশদের ইনিংস ১৬৩ রানে গুটিয়ে গেলে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়- পাকিস্তান, ১৯৯৯: ৩১ মে-১৯৯৯

এই দিনটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে চির স্মরণীয় হয়ে আছে। ঐ দিন বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নর্দাম্পটনে শক্তিশালী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, সাইদ আনোয়ার, শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব আকতার, মঈন খানদের মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে পাত্তাই পাবে না বাংলাদেশ—ম্যাচের আগে সবার ভাবনা ছিল এমন। তবে এদিন যে রূপকথার জন্ম দেওয়ার জন্যই মাঠে নেমেছিল বুলবুলের দল। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আকরাম খানের ৪২, শাহরিয়ার হোসেনের ৩৯ ও খালেদ মাহমুদ সুজনের ২৭ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৩ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। মামুলি এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ১৬১ রানে অলআউট হয়। ম্যাচটি ৬২ রানের বড় ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ।

তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম জয়, ২০০৭ (ভারত-বারমুডা-দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের ব্যর্থতা কাটাতে ২০০৭ বিশ্বকাপটাকেই যেন বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ দল। আর এ আসরেই বিশ্বকাপে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ঐ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হারায় ১৯৮৩ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতকে। টস জিতে আগে ব্যাটিং করা ভারতকে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট করে দেয় টাইগার বোলাররা। মাশরাফি বিন মুর্তজা একাই নেন ৪ উইকেট। আব্দুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ রফিক ৩টি করে উইকেট লাভ করেন। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রান আসে গাঙ্গুলির ব্যাট থেকে। সাকিব, তামিম, মুশফিক তিন জনের বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ ছিল এটি। এদিকে এ আসরে গ্রুপ পর্বের আরেক ম্যাচে বারমুডার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। বারমুডাকে হারাতে পারলেই সুপার এইট নিশ্চিত। এমন সুযোগ হাতছাড়া করেনি বাশারের দল। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি কমিয়ে আনা হয় ২১ ওভারে। রাজ্জাক, মাশরাফি, রফিক, সাকিব ও সৈয়দ রাসেলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপক্ষে নির্ধারিত ২১ ওভারে ৯৪ রানের বেশি করতে পারেনি বারমুডা। রাজ্জাক নেন ৩টি উইকেট। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৩৭ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল, আফতাব আহমেদ ও শাহরিয়ার নাফিসের উইকেট হারালেও সাকিবের ২৬ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ২৯ রানের সুবাদে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

অন্যদিকে ভারত ও বারমুডাকে হারিয়ে শেষ আটে ওঠা বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছিল। পরের ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে এ দিন প্রোটিয়া বধের ইতিহাস লেখেন বাশার বাহিনী। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ দল মোহাম্মদ আশরাফুলের ৮৭, তামিমের ৩৮, আফতাবের ৩৫ ও মাশরাফির ২৫ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে যোগ করে ২৫১ রান। জবাব দিতে নেমে প্রোটিয়াদের ইনিংস ১৮৪ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে ৬৭ রানের জয় পায় হাবুিবল বাশারের দল।

ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম জয়, ২০১১ (আয়ারল্যান্ড-ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস)

২০০৭ সালে দারুণ এক আসর কাটানোর পর ২০১১ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সাথে সম্মিলিতভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। এ আসরে নিজেদের মাঠে আইরিশদের বিপক্ষে তামিমের ৪৪, রকিবুল হাসানের ৩৮ ও মুশফিকের ৩৬ রানের সুবাদে মাত্র ২০৫ রান সংগ্রহ করে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ। টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মাত্র ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশদের ইনিংস। ফলে ২৭ রানের জয় পায় সাকিবের দল। ম্যাচসেরা হন তামিম ইকবাল। এছাড়া নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে ইংল্যান্ডকেও বধ করে টাইগাররা। গুরুত্বপূর্ণ ঐ ম্যাচে ২ উইকেটের নাটকীয় এক জয় পায় টাইগাররা। ইংল্যান্ডের দেওয়া ২২৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে একপর্যায়ে ১৬৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে সাকিবের দল। জয়টা তখন প্রায় অসম্ভবে পরিণত হয়েছিল। সেই অসম্ভবটাই সম্ভব হয়েছিল নবম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শফিউল ইসলামের ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটির কল্যাণে।

এদিকে এই আসরে শেষ আটের টিকিট পেতে হারাতে হবে নেদারল্যান্ডসকে—গ্রুপ পর্বে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে খেলতে নামার আগে টাইগারদের সামনে সমীরকরণটা ছিল এমন। ডাচরা প্রতিপক্ষ হিসেবে সহজ। তাই জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। ঐ ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা নেদারল্যান্ডসের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬০ রানে। মামুলি এই টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইমরুল কায়েসের অপরাজিত ৭৩, শাহরিয়ার নাফিসের ৩৭ ও জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৩৫ রানে ভর করে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

নবম, দশম ও একাদশ জয়, ২০১৫ (আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ড-ইংল্যান্ড)

এ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় আফগানিস্তানকে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৬৭ রান করে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। সর্বোচ্চ ৭১ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। মাশরাফি-সাকিবদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৬২ রানেই অলআউট হয় আফগানিস্তান। ফলে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানের জয় পায় টাইগাররা। ম্যাচসেরা হন মুশফিকুর রহিম। এ আসরেই আরেক ম্যাচে স্কটল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রানের বিশাল স্কোর করলে কঠিন হয়ে উঠে টাইগারদের জয়ের পথ। তবে প্রয়োজনের মুহূর্তে জ্বলে উঠেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা। তামিম, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক ও শেষ দিকে সাব্বিরের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেট ও ১১ বল হাতে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।

এদিকে এই আসরে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেতে ইংলিশদের হারানো প্রয়োজন ছিল মাশরাফি-তামিমদের। অ্যাডিলেড ওভালে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৮ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলের প্রয়োজনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেন তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংসটি। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। এটি বিশ্বকাপে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের প্রথম সেঞ্চুরি। এছাড়া মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৮৯ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান সংগ্রহ করে মাশরাফির দল। জবাব দিতে নামা ইংলিশদের স্কোর একপর্যায়ে ছিল ১ উইকেটে ৯৬ রান। দলীয় ৯৭ রানে অ্যালেক্স হেলসের আউটের পর মোড় বদলাতে শুরু করে ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিতে ১৫ রানের রোমাঞ্চকর এক জয় পায় মাশরাফির দল।

দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ জয়, ২০১৯ (দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আফগানিস্তান)

আসরের প্রথম ম্যাচে ওভালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান করে টাইগাররা। তৃতীয় উইকেটে সাকিব-মুশফিক ১৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। সাকিব ৭৫ এবং মুশফিক ৭৮ রানে আউট হন। ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান করে প্রোটিয়ারা। ফলে বাংলাদেশ ২১ রানে ম্যাচ জিতে নেয়। এরপর নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারায় টাইগাররা। উইন্ডিজের ৩২১ রানের জবাবে খেলতে নেমে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ৪১.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান সংগ্রহ করে। লিটন দাস ৬৯ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত থাকেন। সাকিব আল হাসান ৯৯ বলে অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংস এবং ৫৪ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হন। এছাড়া এই আসরে ৯ ম্যাচে অংশ নিয়ে টাইগাররা আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় জয় পেয়েছিল। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানরা। ৫০ ওভারে টাইগাররা ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান সংগ্রহ করে। পালটা জবাব দিতে নেমে ৪৭ ওভারে ২০০ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস। ব্যাট হাতে ৬৯ বলে ৫১ রান করার পর বল হাতে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হন সাকিব আল হাসান।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন