বিনোদন ডেস্ক:
সর্বশেষ ২০০৮ সালে বাংলাদেশের সিনেমায় দেখা গিয়েছিলো কলকাতার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জিকে। শাকিব খানের বিপরীতে ‘সবার উপরে তুমি’ দিয়ে ঢালিউডে অভিনয় শুরু করলেও এরপর আর দেখা যায় নি এপার বাংলার সিনেমাতে। ১৫ বছর পর আবারও ঢালিউডে ফিরছেন তিনি। অভিনয় করবেন কামরুল রিফাত পরিচালিত ‘ওয়ান ইলেভেন’ সিনেমায়।
স্বস্তিকাকে দেখা যাবে দেশের নন্দিত অভিনেতা আফজাল হোসেনের বিপরীতে। চলতি বছরের শেষ দিকে শুটিংয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন তারা। একটি গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক। তাঁদের অংশের দৃশ্যধারণ করা হবে ঢাকার গাজীপুর, গুলশান ও ধানমন্ডি এলাকার বিভিন্ন স্থানে। বাংলাদেশে এটি হতে যাচ্ছে স্বস্তিকার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র।
দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে স্বস্তিকা বলেন, ‘ওপার বাংলায় কাজ করার ইচ্ছা আমার প্রবল এবং সেটা বহু বছর ধরে। একটা কমার্শিয়াল সিনেমার শুটিং করতে ২০০৮ সালে একবারই গিয়েছিলাম ঢাকায়। তারপর বহু পরিচালক-প্রযোজকের সঙ্গে কথা হয়েছে, স্ক্রিপ্ট আদান-প্রদান হয়েছে, কিন্তু ব্যাটে-বলে হয়নি। কামরুল রিফাত ওয়ান ইলেভেনের গল্পটা পাঠিয়েছিলেন ২০২১ সালে। কোভিডের মধ্যেই আমি গল্পটা পড়েছিলাম। তারপর আমি চিত্রনাট্য পড়েছি। চরিত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে, করেছি একাধিক মিটিং, এরপর একরকম মুগ্ধতা তৈরি হয় পুরো গল্প এবং তারা যেভাবে শুটিং করতে চান—পুরো বিষয়টার সঙ্গে। সেই মুগ্ধতা থেকেই কাজটা করতে চাওয়া।’
স্বস্তিকা এ-ও বলেন, ‘আমি সব সময় এমন চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, যেগুলো আগে কখনো করিনি। কারণ, আমি পর্দায় একই চরিত্রে নিজেকে বারবার দেখতে চাই না। একই চরিত্র করতে থাকলে দর্শক কেন আমাকে বা আমার ছবি দেখতে চাইবে? আর বাংলাদেশের একটা কাজ করব, মনের মতো না হলে হয়তো কাজটা করা হয়ে উঠত না। কিন্তু সত্যিই আমি খুব খুশি সিনেমাতে কাজ করতে যাচ্ছি ভেবে।’
সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে একটা জটিল সার্জারী হয়েছে এই অভিনেত্রীর। বর্তমানে বেশ ভালো আছেন বলে জানান তিনি। সেইসাথে নেটফ্লিক্স ওয়েবসিরিজ ‘কলা’তে ধূসর চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে যেভাবে চমকে দিয়েছিলেন তেমনি ‘ওয়ান ইলেভেন’ সিনেমায় নতুন চরিত্রে চমকে দেবেন বলে প্রত্যাশা স্বস্তিকার।
‘ওয়ান ইলেভেন’-এ লেখকের চরিত্রে হাজির হবেন আফজাল হোসেন। মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ঘরানার সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। হুমায়ুন কবির বিশ্বাসের গল্পে ‘ওয়ান ইলেভেন’ চলচ্চিত্রটির সংলাপ লিখেছেন মোজাফফর হোসেন। চিত্রনাট্য সংশোধন ও পরিমার্জন করেছেন নূরুল আলম আতিক ও মাতিয়া বানু শুকু।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার