বিনোদন রিপোর্টার:
গতকাল দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব :একটি জাতির রূপকার’। সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই ছিল আলোচনায়। তবে মুক্তির পর যে সেই আলোচনা বহুগুণে বেড়েছে। সকলেই সিনেমাটির প্রশংসা করছেন। শুধু বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করা আরিফিন শুভ নয়, সিনেমাটিতে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের পরিণত বয়সের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই দারুণ প্রতিক্রিয়া আমরা পাচ্ছি। এখন তো প্রেক্ষাগৃহে সবাই দেখতে পাচ্ছেন ছবিটি। হল থেকে বের হয়ে সবাই যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তাতে সত্যি আমি মুগ্ধ। আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধুকে আরও গভীরভাবে জানতে সিনেমাটি সবার দেখা উচিত।’ এছাড়া সিনেমাটিতে নিজের চরিত্র নিয়ে তিশা বলেন, ‘সিনেমাটির মাধ্যমে সবাই জানতে পারবে বঙ্গবন্ধুর সফলতার পেছনে ফজিলাতুন নেছার কতটা অবদান রয়েছে। মানুষ দারুণ একজন মহীয়সী নারীকে চিনবে ও জানবে বলে প্রত্যাশা আমার।’
তিশা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কথা সবাই জানে, কিন্তু ফজিলাতুন নেছাকে নিয়ে খুব বেশি চর্চা হয় না। স্বাধীনতা-সংগ্রামের সময় বঙ্গবন্ধু যখন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে জেলে ছিলেন তখন বেগম মুজিব তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। পরিবারের দেখাশোনা করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফজিলাতুন নেছা অসাধারণ সব কাজ করেছেন। আমি মনে করি, এই সিনেমার মাধ্যমে মানুষ দারুণ এক মহীয়সী নারীর সঙ্গে পরিচিত হবে। যাকে নিয়ে গর্ব করা যায়। তার কাজ ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে।’
এদিকে সিনেমাটি মুক্তির পর সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি তারকারও ভিড় করছেন প্রেক্ষাগৃহে। হল থেকে বের হয়ে সবাই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নানা মাধ্যমে। জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘মুজিব :একটি জাতির রূপকার সিনেমাটি দেখে মুগ্ধ না হওয়ার কোনো উপায় নেই। আমার চোখে জল চলে এসেছিল। বারবার চোখ মুছেছি। প্রতিটি চরিত্রই আসলে জীবন্ত হয়ে ধরা দিয়েছে দর্শকের কাছে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা যেমন গুরুত্ব নিয়ে এ সিনেমায় হাজির হয়েছেন, তেমনি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস ও সেই সময়কার ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোও দারুণভাবে উঠে এসেছে। আমি মনে করি এমন একটি সিনেমা আরও আগে নির্মাণের দরকার ছিল। জাতি তাহলে বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও অনেক বেশি চর্চা হতো।’
নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘নির্মাতা চরিত্রগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এ জন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’ অভিনেত্রী নিপুণ বলেন, ‘দেখতেই পাচ্ছেন আমার চোখ থেকে এখনও পানি পড়ছে। আমরা অনেক লাকি যে, আমরা শিল্পী সমিতিতে আসার পরই এমন একটি সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। এই প্রজন্মের সবাইকে বলবো, হলে এসে ছবিটি দেখবেন।’
অন্যদিকে সিনেমাটি দেখে অনেক তারকাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেককেই চোখের জল মুছতে দেখা যায়। সিনেমাটি দেখার পর অভিনেত্রী ভাবনা বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতাকে নিয়ে ছবি! আসলে এই মুহূর্তে সত্যি অনেক বেশি ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। কিছু বলা এখন কঠিন আমার জন্য। তবে এটুকু বলবো, সবাই ছবিটি দেখুক।’ কণ্ঠশিল্পী ইমরান মাহমুদুল বলেন, ‘শেষ দৃশ্যটা দেখার পর আসলে ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। সিনেমাটি দেখে অনেককিছু জানতে পারলাম। আমি বলবো সবারই সিনেমাটি দেখা উচিত। তাহলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরও বেশি ধারণা পাওয়া যাবে।’ আরেক কণ্ঠশিল্পী কণার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে সিনেমাটি দেখে এত বেশি ইমোশনাল হয়ে গেছি যে, কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। কখনও ভাবতে পারিনি সিনেমাটি এত ভালো লাগবে। সিনেমাটি সত্যিই সিনেমার মতোই বানিয়েছেন শ্যাম বেনেগাল। অভিনয়, নির্মাণ সবই দারুণ ছিল। শেষ দৃশ্য দেখে তো কান্না করেছিলাম।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার