স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বড় চমক দেখিয়েই ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩-এ জায়গা করে নেয় নেদারল্যান্ডস। দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের মতো দলকে পেছনে ফেলে ডাচরা কাটে ভারত বিশ্বকাপের টিকিট। বাছাইপর্বের সেই চমক ডাচদের বিশ্বকাপের মূলপর্বেও চমক দেখানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। বিশ্বকাপ শুরুর আগে নেদারল্যান্ডস কোচ রায়ান কুক নিজেদের সেই স্বপ্নের কথা বড় গলায় প্রকাশও করেছিলেন। খুব আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেছিলেন, বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ৯ ম্যাচের অন্তত ৬টিতে জিততে চান তারা। উঠতে চান সেমিফাইনাল।
কিন্তু দুই ম্যাচ রায়ান কুকের সেই গলার জোর হয়তো অনেকটাই মিলিয়ে গেছে। কারণ নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে নেদারল্যান্ডস। সেই হার দুটিও বড় অসহায়তের মতো। পাকিস্তানের কাছে ৮১ রানে হারের পর নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে ৯৯ রানে। মানে প্রথম দুই ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেননি ডাচরা। এই অবস্থায় নেদারল্যান্ডস আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি খেলতে নামছে এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে, যারা আত্মবিশ্বাসের হাওয়ায় উড়ছে। আজ যে ডাচদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, যারা নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই তুলে নিয়েছে দাপুটে জয়। উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে।
আজ দক্ষিণ আফ্রিকা তাই ধর্মশালার হিমাচল প্রবেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নামছে ‘তিনে তিন’-এর স্বপ্ন এঁকে। নেদারল্যান্ডস নামছে প্রথম জয়ের আশা নিয়ে। কিন্তু দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতের পরিসংখ্যান নেদারল্যান্ডসকে জয় স্বপ্নের ছবি আঁঁকতেই দিচ্ছে না। বিশ্বকাপ মঞ্চে তো বটেই; ওয়ানডে ক্রিকেটেই কখনো দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি পুঁচকে নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপে দুই দল এর আগে মোট ৩ বার মুখোমুখি হয়েছে। সেই তিন বারই প্রোটিয়াদের সামনে স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়ে গেছেন ডাচরা। জয় দূরের কথা, মাঠের দ্বৈরথে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি নেদারল্যান্ডস। ১৬০, ২২১ ও ২৩১ রানের হার ব্যবধান সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে। বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে ঠিক এভাবেই হেরেছেন ডাচরা।
সব মিলে ওয়ানডেতে ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তার ৬টিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্য ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টিতে। এই ৭ সাক্ষাতের মধ্যে দুটি ম্যাচ হয়েছে এ বছরে। ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দুই ম্যাচের সেই সিরিজেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবেই হার মানে নেদারল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়ারা ১২০ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জেতে। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের জয়টা ছিল ১৪৬ রানের ব্যবধানে। দক্সিণ আফ্রিকার ৮ উইকেটে করা ৩৭০ রানের জবাবে ডাচরা ২২৪ রানেই অলআউট হয়ে যায়।
মোদ্দা কথা, পরিসংখ্যান নেদারল্যান্ডসকে আশার ছবিও আঁঁকতে দিচ্ছে না। আশা দেখাচ্ছে না ভারত বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সও। ধর্মশালায় আজ তাই আরেকটি এক তরফা ম্যাচের আভাসই। ডাচরা পারবে, এই আভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে ধর্মশালায় কমলা চমক দেখাতে? নাকি আরেকটি দাপুটে জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাই করে ফেলবে তিনে তিন?
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার