তাহিরপুর প্রতিনিধি:
তাহিরপুরে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ দাড়ালো ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছেন। গুরুতর আহত স্বামীর নাম আজিজুল হক (২৭)। তিনি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্ধ গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে। তাকে মমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রীকে পুলিশ আটক করেছে।
আটককৃত স্ত্রীর নাম জহুরা বেগম (২৪)। তিনি একই গ্রামের শাহানুর মিয়ার মেয়ে। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্ধ গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে আজিজুল হক ২০২১ সালে একই গ্রামের শাহনুর মিয়ার মেয়েকে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমানিল্য সৃষ্টি হলে প্রথম স্ত্রী জহুরা বেগম কোর্টে একটি নারী নির্যাতন মামলা করেন। মামলায় আজিজুল হক গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে যান। কিছুদিন পর জেল হাজত থেকে জামিনে এসে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে একই ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের নাজমা আক্তার চৈতী নামে এক মেয়েকে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন আজিজুল হক।
এতে ক্ষিপ্ত হন প্রথম স্ত্রী জহুরা বেগম। গত কিছুদিন ধরে জহুরা বেগম স্বামী আজিজুলকে এসএমএস এবং ফোন দেন তার সঙ্গে একান্তভাবে দেখা করার জন্য। তার কথা মতো আজিজুল হক মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে প্রথম স্ত্রী জহুরা বেগমের পিতার বসত ঘরের বারান্দার রুমে যান দেখা করতে। একপর্যায়ে স্বামী স্ত্রী একান্ত মিলিত অবস্থায় ধারালো ব্লেড দিয়ে পোজ দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেন প্রথম স্ত্রী জহুরা বেগম।
সংবাদ পেয়ে রাতেই বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম, এএসআই নাজিমউদ্দীনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রথম স্ত্রী জহুরা বেগমকে আটক করে। অপরদিকে ভিকটিম কে উদ্ধার করে রাতেই মমুর্ষ অবস্হায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত প্রথম স্ত্রী জহুরা বেগম আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার