স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ঘরে ঢুকে জবাই করে হত্যা করলেও অক্ষত রয়েছে ৯ মাসের কন্যা অজিহা।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় তিন জনকে গলাকাটা অবস্থায় মৃত পাওয়া গেলেও খাটের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় ছিল শিশু অজিহা।
নিহতরা হলেন আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়ানী এলাকার প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার (৩৫), তার বড় ছেলে মাহিন (১৪) ও ছোট ছেলে মহিন (০৭)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেকি আক্তার তার দুই ছেলে ও ৯ মাস বয়সি কন্যা শিশুকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতেই ছিলেন। জেকির স্বামী শাহ আলম সৌদি আরব প্রবাসে রয়েছেন। বাড়িতে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে বসবাস করেন। সকালে ৯টার দিকে বাড়ির কাজের মহিলা জেসমিন আক্তার (৩৫) এসে দেখেন ভবনের গেট লাগানো। অনেক ডাকাডাকির পর পরিবারের অন্য সদস্যদের সহযোগিতায় গেট খুলে ভেতরে গিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে শাহ আলমের স্ত্রী জেকি ও তার বড় সন্তান মাহিনের জবাই করা লাশ পড়ে আছে। অন্যদিকে পাশের একটি বাথরুমে ছোট ছেলে মহিনের জবাই করা লাশ পড়ে আছে।
এদিকে শাহ আলমের ছোট কন্যাশিশু অজিহাকে বিছানার ওপরে অক্ষত অবস্থায় পেয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা অজিহাকে উদ্ধার করে তার চাচিদের কাছে রেখেছেন।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম এ ঘটনার রহস্য উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে। এখনো সন্দেহজনকভাবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। কোনো চুরি ডাকাতি করার জন্য এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে না। সকল বিষয় মাথায় রেখেই আমাদের তদন্ত চলছে।
প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বড় বোনের মেয়ের জামাই ঘাতক জহিরুল ইসলামকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ ও ডিবি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার