Daily Jalalabadi

  সিলেট     শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ানীবাজার থানা থেকে চোরাই গরু ছাড়িয়ে নিলেন আওয়ামীলীগ নেতা!

admin

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৭:০৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৭:০৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
বিয়ানীবাজার থানা থেকে চোরাই গরু ছাড়িয়ে নিলেন আওয়ামীলীগ নেতা!

স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজার থানা থেকে আটক চোরাই গরু ছাড়িয়ে নিলেন আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন খসরু। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও থানা পুলিশের কাছে তদবিরকারী হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। কেউ আবার তাকে থানার দালাল বলেও চিনেন।

সূত্র জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিয়ানীবাজার পৌরশহর থেকে পুলিশ ভারতীয় চোরাই সন্দেহে দুই ট্রাক গরু আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গরুভর্তি ট্রাকের নং সিলেট মেট্রো নং- ১১-১৯৯৩ ও সিলেট মেট্রো নং- ১১-১২৭৬।
বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের এসআই আব্দুর রহীম ও এএসআই মোস্তফা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গরু বোঝাই ট্রাক দু’টি চ্যালেঞ্জ করেন। এ সময় গরুর মালিক দাবীদার ব্যক্তি সারোপারের আহাদ ও অপর আরেক ব্যক্তি কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। একপর্যায়ে গরুসহ ট্রাক দু’টি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপরই শুরু হয় আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন খসরুর তদবীর। রাজনৈতিক এবং প্রভাবশালীদের ভয় দেখিয়ে গরু ছাড়াতে ব্যর্থ হয়ে তিনি পুলিশকে ম্যানেজ করার উপায় খুঁজতে থাকেন। ব্যাপক দর কষাকষির পর রাত অনুমান ১টার দিকে পুলিশ ১০টি গরুসহ ট্রাক দু’টি ছেড়ে দেয়। চোরাই গরুর বাজার মূল্য প্রায় ১০লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

গরু ব্যবসায়ী আহাদ জানান, গোয়াইনঘাট এলাকা থেকে গরু কিনে তিনি বিয়ানীবাজারে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে পৌরশহর এলাকায় পুলিশ ট্রাকসহ গরু আটক করে। বিষয়টি আমি খসরু ভাইকে জানালে তিনি পুলিশকে ম্যানেজ করে গরুগুলো ছাড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, গোয়াইনঘাট বাজার থেকে গরুগুলো ক্রয়ের রশিদ ছিল। তবে গোয়ইনঘাটের মালিক গরুগুলো পেলেন কোথায় এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

এ বিষয়ে এএসআই মোস্তফা জানান, গরু আটক করেছি। বাকীটা ওসি সাহেব জানেন। আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন খসরু বলেন, গরুর মালিক আমার পরিচিত। তাই এগুলো ছাড়িয়ে দিয়েছি।

তবে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম এর কাছে জানতে ফোন করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

খসরুর নিজ গ্রাম কোনগামের বাসিন্দারা জানান, আওয়ামীলীগ নেতা খসরু নিজেকে আড়াই থানার এমপি হিসেবে পরিচয় দেন। বিয়ানীবাজার উপজেলা কিংবা থানায় কোন নতুন অফিসার এলেই তিনি খাতির যত্ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। খসরুর মুড়িয়া ইউনিয়নের অঘোষিত মুরব্বী। অথচ তার বিরুদ্ধাচারনকারীরা জানান, খসরুকে কেউ মোড়ল মানেনা। তার অবস্থা এমন যে, ‘গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল।’

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.2K বার

শেয়ার করুন