স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের আলোচিত রাজনীতিবীদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীকে ‘গলা টিপে হত্যার’ হুমকি দিয়েছেন তারই চাচা (বাবার চাচাতো ভাই) আশিক চৌধুরী। এ অভিযোগে সামিরার আরেক চাচাতো ভাই রাহাত চৌধুরী (২৩) ঘটনার এক মাস ৫ দিন পর অনলাইনে সিলেটের কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। রাহাত- হারিছ চৌধুরীর আপন ভাই নজমুল হোসেন চৌধুরীর ছেলে।
এর আগে রাহাত চৌধুরী গত ২৩ জানুয়ারি কানাইঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সেটি কী অবস্থায় আছেন তিনি জানেন না। পরে তিনি একাধিকবার ডায়েরি করার জন্য থানায় গেলেও নানা বাধায় করতে পারেননি বলে রাহাতের অভিযোগ। অবশেষে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অনলাইনে ডায়েরি করেছেন। ডায়েরি নং- ১১৭২।
জিডি সূত্রে জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই ও কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী গত ১৭ জানুয়ারি উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নের রামধন গ্রামে হারিছ চৌধুরীর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে দীর্ঘ বক্তব্য দেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি হারিছ চৌধুরীর মেয়েকে ‘গলা টিপে হত্যা’র কথা বলেন। এ সময় হারিছ চৌধুরীর পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়েও বিষোদ্গার করেন তিনি। এছাড়াও হারিছ চৌধুরী ও তার অন্যান্য ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের ওই এতিমখানায় ঢুকতে নিষেধ করেন এবং ঢুকলে মারধর করবেন বলে হুমকি প্রদান করেন।
ওই অনুষ্ঠানের পরই তাঁর এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সিলেটসহ সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে আশিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাহাত চৌধুরী ২৩ জানুয়ারি কানাইঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে না বলে রাহাত চৌধুরীর অভিযোগ।
তিনি মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বলেন- ২৩ জানুয়ারির পর আমি একাধিকবার কানাইঘাট থানায় উপস্থিত হয়ে জিডি করার চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে ‘বিষয়টি পারিবারিকভাবে শেষ করুন’ বলে বিদায় করে দেওয়া হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি আমি অনলাইনে জিডির আবেদন করি।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর বলেন- ‘পারিবারিকভাবে শেষ করুন’ এমন কথা সত্য নয়। আমরা শুধু বলেছিলাম- সামিরা বিষয়টি জানেন কি না, না জানলে জানিয়ে জিডি করুন।
তিনি বলেন- জিডি হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ জানুয়ারি রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু’র খবর জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনায় আসেন তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী। তখন তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার