Daily Jalalabadi

  সিলেট     শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে লন্ডন প্রবাসীর ‘টাকা মেরে পলাতক’ দুই তরুণী

admin

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৭:৪৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৭:৪৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
সিলেটে লন্ডন প্রবাসীর ‘টাকা মেরে পলাতক’ দুই তরুণী

স্টাফ রিপোর্টার:
আত্মীয়তার সুবাদে এক লন্ডন প্রবাসীর সিলেট মহানগরস্থ বাসায় বিনা ভাড়ায় থাকতে শুরু করেছিলেন দুই তরুণী। তবে কথা ছিলো- অন্যান্য ভাড়াটের কাছ থেকে টাকা তুলে প্রবাসীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার। কিন্তু ও প্রবাসীর কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করে এখন তারা পলাতক রয়েছেন। ওই দুই তরুণীর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

অভিযুক্ত দুই তরুণী হচ্ছেন- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার উমরপুরের শাহ রাজা মিয়ার মেয়ে শাহ নাদিয়া বেগম ও শাহ সাদিয়া বেগম।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সিলেট মহানগরের রায়নগর সোনারপাড়াস্থ লন্ডন প্রবাসী সাউল মিয়া উরফে সাবুল মিয়ার বাসায় (রাসোস-২০) আত্মীয়তার সুবাদে নাদিয়া ও সাদিয়া ২০২০ সালের মার্চে থেকে থাকতে শুরু করেন। তাদেরকে ২য় তলার একটি ইউনিটে বিনা ভাড়ায় থাকতে দেন প্রবাসী সাবুল মিয়া।

তবে তাদের সঙ্গে কথা ছিলো, অন্যান্য ভাড়াটের নিকট হতে ভাড়া আদায় করে প্রবাসীর ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই নাদিয়া ও সাদিয়া ভাড়াটেদের টাকা প্রবাসী সাবুল মিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে না রেখে আত্মসাৎ করতে শুরু করেন। এছাড়াও তাদের নিকট বাসার কাজের জন্যে প্রবাসী লন্ডন থেকে বেশি কিছু টাকাও পাঠান। তবে দুই বছর অবস্থানের পর সাদিয়া ও নাদিয়া কাউকে না বলে বাসার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় নাদিয়া ও সাদিয়াকে আসামিকে করে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রবাসীর কেয়ারটেকার কবির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ৯০৩/২০২২)।

কোতোয়ালি থানার এসআই মো. আজিজুল হক তদন্ত শেষে গত ১৩ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বলা হয়- শাহ নাদিয়া বেগম ও শাহ সাদিয়া বেগম প্রবাসীর কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ ১৮ হাজার ৩৫০ টাকাসহ বাসা ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন মালামাল চুরি করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। পরবর্তীতে গত সপ্তাহে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নাদিয়া ও সাদিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জালাল আহমদ।

এদিকে, মামলার তদন্ত চলাকালে গত বছরের ২০ নভেম্বর সাদিয়া ও নাদিয়া সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। তবে ইমিগ্রেশন পুলিশের তারা বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসেন।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে শাহ নাদিয়া বেগমের মোবাইল ফোন নাম্বারে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার

শেয়ার করুন