স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রবিবার জরুরী একাডেমিক কাউন্সিল সভায় অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নেয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।
জরুরি এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়- ‘নিয়ন্ত্রণবর্হিভূত ও দাপ্তরিক কোন কারনে সরাসরি উপস্থিতিতে ক্লাস নেয়া সম্ভব না হলে অনলাইনে ক্লাস নেয়া যাবে।’
তবে, একাধিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় অনেক শিক্ষক নিয়মিত সিডিউল ভেঙ্গে সন্ধ্যা ও রাতে রাখছে ক্লাস। এতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশ।
আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় একটা অংশের শিক্ষার্থীরা দিনে ক্লাস ও রাতে টিউশন করে থাকে ।তবে লম্বা বিরতিতে টিউশন হারানোর আশংকায় অনেকে উপস্থিত হচ্ছেনা সিডিউলের বাইরে রাতের এ ক্লাসে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন-“দেশব্যাপী হরতাল,অবরোধের মতো বিরূপ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনলাইন ক্লাস নেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেয় । কিন্তু কোনোরকম শিডিউল বা রুটিন ছাড়াই কোনো স্যার সকাল,দুপুর কেউবা সন্ধায় ক্লাস নেওয়ার ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিড়ম্বনায় পড়ছেন। আমাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর সন্ধার পর টিউশনি থাকে। এই সময়ে ক্লাস শিডিউল থাকায় অনেকে বিড়ম্বনায় পড়ে যান। তাই আমরা চাই, নির্দিষ্ট একটা সিডিউল দিয়ে ক্লাস নিলে সবার জন্যই সুবিধাজনক হবে।”
এদিকে জানা যায়, হরতাল ও অবরোধ চলাকালে বাস বন্ধ থাকলেও সশরীরে পলিটিক্যাল স্টাডিজের বিভাগের দুজন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন বলে জানা যায়। এতে দূরের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশগ্রহণ ও বাসায় ফেরত যেতে বিপাকে পড়েন৷ অন্যদিকে, এ অবরোধ ও হরতালের কারণে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দুইটি পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সৈয়দ আশরাফ বলেন – “আমরা শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে উভয় সুযোগ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের কেও চাইলে অনলাইন বা অফলাইনে ক্লাস করতে পারবে তাদের সুবিধা মতো। শিক্ষকদের জন্য একই সুযোগ রেখেছি। আমাদের লক্ষ্য একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া যাতে শিক্ষার্থীরা কোনো ভাবে সমস্যায় না পড়ে সেই বিষয় বিবেচনা করে।”
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন- “এটা একটা বিশেষ অবস্থা, এমন নই সবগুলো ক্লাস এমন হচ্ছে। অামরা চাই, আমাদের সেশন জট না থাকে। অনলাইনে ক্লাসগুলো দিনের সময় নিলে ভালো হয়। শিক্ষার্থীদের উচিত ক্লাস টিচারের সাথে কথা বলে এই বিষয়টা সমন্নয় করা।”
অফলাইনে ক্লাসের ব্যাপারে তিনি বলেন- “অনলাইনে ক্লাস ব্যাপারটা এমন নয়। সব শিক্ষার্থীরা থাকলে অফলাইনে হতে পারে। কোনো শিক্ষার্থীরা যদি অফলাইনে ক্লাসে উপস্থিত হতে না পেরে কোনো বিষয় বুঝতে না পারে তাহলে সে শিক্ষকদের সহযোগিতা নিতে পারবে । আমরা চাই এমন পরিস্থিতিতে যতটুকু পারা যায় শিক্ষা-কার্যক্রম এগিয়ে রাখতে।”
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার