স্টাফ রিপোর্টার:
বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি বলছে- এটি তাদের ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলন। দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে- আওয়ামী লীগ সরকারের পতন।
এই দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে আয়োজিত মহাসমাবেশ শেষ করতে না পেরে পরদিন হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। পরে দেয় ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের টানা অবরোধের ডাক। বিচ্ছিন্ন পিকেটিংয়ের মধ্যদিয়ে সিলেটে তিন দিনের এ অবরোধ পালন করেছেন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা।
এই তিন দিনে সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ১২ জন নেতাকর্মী আটক হয়েছেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সিলেটে এই তিন দিন কোনো বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। অবরোধের নামে নাশকতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সুরমায় ১, শাহপরান এলাকায় ২ জন ও জালালাবাদ থানা এলাকায় ১ জন। এর আগে বুধবার বন্দরবাজার এলাকা থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তার আগের দিন দক্ষিণ সুরমায় আটক করা হয় আরও দুজনকে। তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অবরোধের তৃতীয় দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করেনি। তবে দুপুরের পর সিলেট থেকে ছেড়ে যায় এসব বাস। আর সকাল থেকেই ব্যক্তিগত ও ছোট যানবাহন চলেছে। নগরী ও আশেপাশে সিএনজি অটোরিক্সাসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করছে।
বিকেলের দিকে অবরোধের উত্তাপ পুরোটা কমে গেলে সিলেটে চিত্র অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসে।
এদিকে, নাশকতা এড়াতে অবরোধের তিন দিনই পুলিশের পাশাপাশি, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা মাঠে ছিলেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার