স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট মহানগরে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় জামিয়া আক্তার (১৭) নামের গৃহকর্মী আত্মহত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে মহানগরের সাগরদিঘিরপাড়ের আপন ব্লু-টাওয়ার নামের বহুতল ভবনের ১২ নম্বর ফ্ল্যাটের একটি ইউনিটের টয়লেট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় জামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই বাসায় ভাড়া থাকেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মঞ্জুরুল আহসান। আত্মহত্যাকারী কিশোরী তাঁর বাসায় দুই বছর থেকে গৃহকর্মীর কাজ করতো।
জামিয়া সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে।
এসএমপি’র উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে বলেন- কী কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে এখনো জানা যায়নি। বাসার সিড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়- বেলা ১১টার দিকে ঘরের ময়লা সে ঝুড়িতে করে বাইরে নিয়ে ফেলে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই সময় সে বাসায় একাই ছিলো। পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীও চাকরিজীবী। সন্তানরা ছিলো স্কুরে। দুপুরের পরে পুলিশ কর্মকর্তার সন্তানরা স্কুল থেকে ফিরে দরজায় ডাকাডাকি করলে জামিয়ার সাড়া না পেয়ে তারা বাবা-মাকে জানান। পরে তারা সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বাথরুমে টাওয়াল স্ট্যান্ডের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় জামিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
আজবাহার আলী শেখ আরও বলেন- লাশের ময়না তদন্ত হচ্ছে। কেন আত্মহত্যা করেছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার