স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট নগরের টিভি গেইট এলাকায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে নিজ দলরে ক্যাডাররা কুপিয়ে খুন করেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরিফ মিয়া (১৯) নামের ওই ছাত্রলীগকর্মী মারা যান। এর আগে রাত ১২টার দিকে টিভি গেইট এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন।
নিহত আরিফ মিয়া নগরীর শাহীঈদগাহ টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। সে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিল বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নগরীর শাহীঈদগাহ টিভিগেইট ও বালুচর এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে অনেক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে টিভিগেইট এলাকায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ক্যাডাররা আরিফের উপর হামলা চালায়।
তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে যায় আরিফকে। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আইসিইউতে ভর্তির পর রাত দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার বাম হাত, উরু ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ১২টি আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আলী মাহমুদ ছাত্রলীগ কর্মী আরফি নিহতের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নগরের শাহীঈদগাহ টিভিগেইট এলাকায় আহত হন আরফি। রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল শাহপরান থানাধীন এলাকায় হওয়ায় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
এদিকে, নিহত আরিফকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত আরিফ সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, এবং ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচদিন আগে আরিফের ওপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আরিফ হামলার ঘটনায় নগরের শাহপরান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। রাতে তার উপর হামলা চালানো হয়।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার