স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন তারা। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হওয়ায় তাদেরকে আজীবন বহিস্কার করা হয়। ফলে বিএনপির চলমান আন্দোলনে রাজপথে নেই কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে বহিস্কার হওয়া এসব নেতারা।
বহিস্কৃত এই নেতাদের দলের ক্রান্তিলগ্নে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল। দলের এই বহিস্কারাদেশ ভুলের জন্য সন্তানকে মা-বাবার শাসন করার মতো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রবিবার নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি বহিস্কৃতদের চলমান আন্দোলনে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
আবদুল আহাদ খান জামালের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘অজুহাত দেখিয়ে দূরে সরে না থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে রাজপথে আসুন। মনে রাখবেন দল আপনাকে / তোমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আজকের যা কিছু অর্জন তার সিংহভাগ জিয়া পরিবার ও বিএনপির বদৌলতে হয়েছে।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভুল করেছেন এজন্য দল বহিষ্কার করেছে। সন্তান ভুল করলে মা বাবা শাসন করে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে দল শাসন করে। নির্বাচনে কেউ বিজয়ী হয়েছেন কেউ পরাস্ত হয়েছেন।
দল অনেক কিছু দিয়েছে আপনাকে /আমাকে। এখন দেশ ও দলকে দেওয়ার পালা। নিজেদের ভুল শোধরানোর এটাই উৎকৃষ্ট সময়। মাঠে নামুন, লড়াইয়ে শামিল হোন প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও আাদর্শিক মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে, দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে, ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র ফিরে পেতে। পিতা মাতা যেমনি সন্তানকে ফেলে দেয়না ঠিক তেমনি দলের পক্ষে এই সংকটময় সময়ে ভুমিকা রাখলে দলও আপনাকে / তোমাকে ফেলে দেবেনা।
প্রিয় ভাই ও বোন কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদি, সাবেক কাউন্সিলর সালেহা কবির শেপি, সাবেক কাউন্সিলর এডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ, কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, কাউন্সিলর আলতাফ হোসেন সুমন, কাউন্সিলর দেলওয়ার হোসেন নাদিম সহ অন্যান্য বহিস্কৃত সকল নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে দেখতে চাই।
আশাকরি সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
ইনশাআল্লাহ আঁধার কেটে আলো আসবেই।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার