স্পোর্টস ডেস্ক:
ইউরোপের ক্লাবে নিজের জায়গা হারিয়ে ফেলেছেন ত্রিশের কোটায় থাকা নেইমার জুনিয়র। যে সময়টায় অনেকেই ইউরোপে দাপিয়ে বেড়ান, সে সময়েই কিছুটা বাধ্য হয়ে সৌদি আরবে গিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই সুপারস্টার। তবু জাতীয় দল বা ক্লাব সবখানেই নিজের পারফরম্যান্স ধরে রেখেছিলেন নেইমার। তবে ইনজুরি এসে হানা দেওয়ায় আবারও সেই মাঠের বাইরের জীবনে ফিরতে হয়েছে তাকে।
ফুটবলে যেমন সুখ নেই, তেমনি ব্যক্তিগত জীবনেও ধাক্কা খেয়েছেন নেইমার। দীর্ঘদিনের বান্ধবী ব্রুনা বিয়ানকার্দির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে এই ফুটবলারের। সন্তান মাভির জন্যই নাকি মাঝেমাঝে একত্র হওয়া হয় তাদের দুজনের। এছাড়া আর কোনভাবেই তাদের সম্পর্ক টিকে নেই। যদিও এসব কথা নাকি বিয়ানকার্দিকে প্রকাশ করতেও নিষেধ করেছিলেন নেইমার। যদিও বিয়ানকার্দি প্রকাশ করেছেন সবকিছুই।
অথচ অক্টোবরের ৭ তারিখেই কন্যা মাভির পৃথিবীতে আসার খবর জানিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। এরপরেই বিতর্কিত তারকা এলিন ফারিয়াসের সঙ্গে তার কিছু কথোপকথনের কথা প্রকাশ্যে চলে আসে। নেইমার যদিও দাবি করেছিলেন এসব কথোপকথন বেশ অনেক দিন আগের।
এরপরেই গুঞ্জন শুরু হয় নেইমার-বিয়ানকার্দি সম্পর্ক নিয়ে। অবশেষে তাদের সম্পর্ক শেষের কথা জানালেন বিয়ানকার্দি নিজেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামেই তিনি জানান, যদিও এটি একটি ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু যেহেতু আমি প্রতিদিন সংবাদ, অনুমাননির্ভর কথা আর (লোকের) রসিকতার মুখোমুখি হই, তাই আমি আপনাকে জানাচ্ছি, আমি এখন কোনও সম্পর্কের মধ্যে নেই।”
তিনি আরও লিখেছেন, “আমরা (নেইমার এবং বিয়ানকার্দি) মাভির বাবা-মা এবং এটাই আমাদের বন্ধনের কারণ। আমি আশা করি এইভাবে তারা ঘন ঘন সংবাদ উপস্থাপন বন্ধ করবে। ধন্যবাদ।”
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসেই কন্যা মাভির কথা প্রকাশ করেছিলেন নেইমার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে নবাগত সন্তানের তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি। যেখানে নেইমার সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু সন্তান ও প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে বাচ্চাকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখা যায় নেইমার ও বিয়ানকার্দিকে। যদিও দেড় মাসের মাথায়ই এলো তাদের বিচ্ছেদের খবরটাও।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার