স্টাফ রিপোর্টার:
৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড, হাতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। বাংলাদেশের সুযোগ ছিল প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার, কিন্তু সেটা হয়নি। দিনের প্রথম ঘণ্টায় সাউদি ও জেমিসন জুটি তা হতে দেয়নি। দুজন মিলে আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৬৬ রানটাকে দ্রুতই তিন শর ঘরে নিয়ে যান। এরপর লিড। বাংলাদেশের ভাগ্য বদলায় ড্রিংকস ব্রেকের পর পরই। মুমিনুল হকের করা ১০২তম ওভারে আউট হন জেমিসন ও সাউদি। তাতে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে ৩১৭ রানে, লিড ৭।
বাড়তি কিছু রানের জন্য বাংলাদেশের ফিল্ডিংও কিছুটা দায়ী। দিনের শুরু থেকেই ‘ইন অ্যান্ড আউট’ ফিল্ডিং সাজিয়েছেন নাজমুল হোসেন। মিড উইকেট তো বাইরে ছিলই। একটা পর্যায়ে কাভার-পয়েন্টও বাইরে ছিল। সাউদি ও জেমিসন, দুজনই ফাঁকা জায়গায় বল ফেলে এক-দুই রান নিয়েছেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
তাইজুল ও মিরাজকেও ভয়ংকর মনে হচ্ছিল না। দুজনই প্রথম স্পেলে উইকেট শূন্য থাকায় শরীফুল ইসলামকে বোলিংয়ে আনেন নাজমুল। তাতেও কাজ হয়নি। বরং রান বেড়েছে। নাঈম হাসানের অফ স্পিন বেশ কার্যকরী মনে হচ্ছিল। তবে দুই দীর্ঘদেহী কিউই ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের বোলিং খেলতে কষ্ট হচ্ছিল।
ওয়াইড অব দ্য ক্রিজ থেকে আসা মুমিনুলের রাউন্ড আর্ম অ্যাকশনে কিছু বল নিচু হচ্ছিল, কিছু টার্ন। আজকের দিনে দ্বিতীয় ওভার করতে এসে সেই মুমিনুলের বলেই আউট হন দুই কিউই ব্যাটসম্যান। জেমিসনকে আর্ম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল। ৭০ বলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি।
৩ বল পর সাউদিকে বোল্ড করেন মুমিনুল। তাঁর ইনিংস থামে ৬২ বলে ৩৫ রান। গতকালও ১ উইকেট নিয়েছিলেন মুমিনুল। এই ইনিংসে সব মিলিয়ে ৪ রানে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। টেস্টে এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আরেক বাঁহাতি তাইজুল।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার