অনলাইন ডেস্ক:
আকর্ষণীয় বেতন ও সুযোগ-সুবিধায় দক্ষিণ কোরিয়া এখন শ্রমবাজারে অন্যতম নাম। দেশটির মোট শ্রমবাজারে বাংলাদেশের হিস্যা অতি সামান্যই। কর্মনিষ্ঠা, সততা ও নিয়মানুবর্তিতায় বাংলাদেশি শ্রমিকেরা এখন দেশটিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। শুধু কোরিয়ান ভাষা শিখলে নামমাত্র খরচে মাসে দেড় লাখ টাকার বেশি বেতনে চাকরি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০০৭ সালে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি হয়। এই চুক্তির ভিত্তিতে ২০০৮ সাল থেকে দেশটিতে দক্ষ কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস অব কোরিয়া (এইচআরডি কোরিয়া) কর্মী পাঠানোর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প খাতে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো হয়। কয়েক ধাপে প্রার্থী নির্বাচনের পর দক্ষ কর্মীরা সেখানে যাওয়ার সুযোগ পান।
ইপিএসের আওতায় ‘ই৯’ ভিসায় স্বল্প খরচে উচ্চ বেতনে 3D (dirty, difficult, dangerous) কাজে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চাইলে কোরীয় ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনলাইনে নিবন্ধন আবশ্যক।
২০২৩ সালে নির্ধারিত কোটা পূরণের লক্ষ্যে কোরীয় ভাষা পারদর্শীদের চূড়ান্ত নিবন্ধন কার্যক্রম (অনলাইন) শুরু হয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দক্ষিণ কোরিয়ায় শিল্পখাতে প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মী সরকারিভাবে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
গত বছরের শেষ নাগাদ প্রায় পাঁচ হাজার দুইশত বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় যান। এরই মধ্যে অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এ বছর প্রায় ৭ হাজার ৫০০ জন বাংলাদেশি দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকায় নিযুক্ত কোরীয় রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন।
এছাড়াও অতিরিক্ত আরও ৫০০০ কর্মীসহ কৃষি ভিসায় মৌসুমি শ্রমিক পাঠানোর সুযোগতো থাকছেই। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ কর্মী নিতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
কর্মনিষ্ঠা, সততা ও নিয়মানুবর্তিতার কারণে বাংলাদেশের কর্মীরা এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাইতো দেশটিতে বাংলাদেশের কর্মীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিগত বছরগুলোতে লটারির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ ছিল আর এখন লটারির পাশাপাশি শুধু কোরিয়ান ভাষা জানা থাকলে নামমাত্র খরচে লটারি ছাড়াই শুধু কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষা দিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকার বেশি বেতনের চাকরি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়া যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০০৭ সালে কর্মী নিয়োগের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ২০০৮ সাল থেকে দেশটিতে দক্ষ কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ সরকার।
ভাষা পারদর্শীদের জন্য বোয়েসেল নিবন্ধন ওয়েবসাইট:
ব্যক্তি ভিত্তিক পরীক্ষার সময়সূচি: ২৭ মার্চ, ২০২৩
ইপিএস টপিক নিবন্ধন: ৩ এপ্রিল থেকে ১ জুন ২০২৩
ইপিএস টপিক ফল প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩
পরীক্ষা শুরু হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে। এছাড়া আগের স্কিলটেস্ট পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুতিসহ বিষয়টি বহুল প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন, বোয়েসেল কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা:
শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি/সমমান;
পাসপোর্টের মেয়াদ হালনাগাদ থাকা সাপেক্ষে;
বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৯ বছর (অর্থাৎ জন্ম তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৯৮৩ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০০৫ এর মধ্যে হতে হবে);
E-9 ভিসায় কাজ করার আগ্রহ থাকতে হবে;
যার কালার ব্লাইন্ডনেস বা রঙ বোঝার সক্ষমতার সমস্যা নেই;
কোরীয় ভাষা পড়া, লেখা ও বোঝার পারদর্শিতা থাকতে হবে (নিম্নের ৩নং অনুচ্ছেদ দ্রষ্টব্য);
মাদকাসক্ত/সিফিলিস শনাক্ত ব্যক্তিরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন;
যার ফৌজদারি অপরাধে জেল বা অন্যকোনো শাস্তি হয়নি;
যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করেনি;
যার ওপর বিদেশ যাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বা যেতে কোনো সমস্যা নেই;
যারা ই-৯ বা ই-১০ ভিসায় কোরিয়াতে ৫ বছরের বেশি থাকেনি।
অ্যাপ দিয়ে যেভাবে পেমেন্ট বিকাশ করবেন:
বিকাশ অ্যাপ থেকে আরও দেখুন ট্যাপ করে এডুকেশন ফি সিলেক্ট করুন
ট্রেনিং ট্যাপ করে BOESL সিলেক্ট করুন
আপনার সঠিক সাবমিশন আইডি দিন এবং পরবর্তী ধাপে যান
আপনার পেমেন্ট-এর তথ্য যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যান
আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর দিন
পেমেন্ট সম্পন্ন করতে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখুন
পেমেন্ট দেওয়া সম্পন্ন হলে কনফারমেশন পাবেন
অ্যাপে দেখে নিতে পারেন পেমেন্টের ডিজিটাল রিসিট
ছবির সাইজ: ৩০০ রেজুলেশন, wide: 270, hight: 347.KB14.JPGE
পাসপোর্ট: 600X403 Pixel, 60 KB, JPGE
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গতবার যারা ২০২০ এবং ২০২২ সালে লটারি পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়নি তারাও থ্রিডি সার্কুলারে অ্যাপ্লাই করতে পারবে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অথবা নিজে নিজে যেকোনো মাধ্যমে ভাষা শিখেছেন তারাও আবেদন করতে পারবেন। লটারি বা ভাষা পারদর্শী পরীক্ষা দিয়ে কেউ অনুত্তীর্ণ হয়ে থাকলে তিনি আবেদন করতে পারবে।
২২ ও ২৩ তারিখে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে মোট ২৩ হাজার জন রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং শেষ অবধি ২০ হাজার জন থেকে ৬০০০ জন চূড়ান্তভাবে নেওয়া হবে এবং রোস্টার করানো হবে। আবেদন করতে মোট লাগবে ৩৬৫০ টাকা।
বিস্তারিত তথ্য বোয়েসেলের লিঙ্কে গিয়ে হোমপেজে ক্লিক করলে পাবেন নতুবা ফেসবুক পেজে পাওয়া যাবে। যাদের কম্পিউটার নেই কিন্তু নিজে নিজে মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করতে চান তারাও নির্ভুলভাবে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও যেকোনো কম্পিউটারের দোকান থেকে নির্ভুলভাবে আবেদন করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বোয়েসেল আরও উল্লেখ করেছে, কোরীয় ভাষা অপারদর্শীদের জন্য ২০২৩ সালের লটারি সার্কুলার শিগগিরই বোয়েসেলের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হবে।
বিস্তারিত জানতে
সরকারিভাবে স্বল্প খরচে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন বোয়েসেলের ইপিএস শাখায়। ঠিকানা: বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল), ৭১-৭২ ইস্কাটন গার্ডেন, প্রবাসী কল্যাণ ভবন (৪র্থ তলা) রমনা, ঢাকা-১০০০। ফোন: ৪৮৩১৯১২৫, ৪৮৩১৭৫১৫, ৫৮৩১১৮৩৮। ওয়েবসাইট: www.boesl.gov.bd।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার