স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনেই পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সেখানে নির্বাচন কমিশন যেভাবে চাইবে, পুলিশ সেভাবেই জনগণকে সেবা দেবে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল জেলা পুলিশের উদ্যোগে মুলাদী থানা মাঠে আয়োজিত মুলাদি থানা উদ্বোধন ও মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সিলেট ও দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত দক্ষ ও শক্তিশালী হওয়ায় জঙ্গিরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক আমাদের আওতায় তারা এসে পড়বেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশে ১০১টি আধুনিক পুলিশিং ভবন বিনির্মাণ করা হচ্ছে। আধুনিক পুলিশিং ব্যবস্থার সব সুযোগ-সুবিধা এ থানাগুলোতে থাকবে। থানা ভবন যেমন আধুনিক করা হচ্ছে, ঠিক একই সঙ্গে এর সার্ভিসও যুগোপযোগী করা হবে। আমাদের পুলিশ এখন জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করছে। তারা জনগণের মধ্যেই সবসময় থাকছে।’
বরিশালের পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন, বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ, এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু, পংকজ নাথ, শাহে আলম, নাসরিন জাহান রতনসহ অনেকে।
৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে চারতলা বিশিষ্ট মুলাদী থানা। ভবনের চারতলায় ৮০ জন পুরুষ পুলিশ সদস্য এবং তৃতীয় তলার আটটি কক্ষে থাকবেন নারী সদস্যরা। এ ছাড়া নিচতলা ও দোতলায় থাকছে সেবা গ্রহণকারীদের অভ্যর্থনা কক্ষ, নারী-শিশু ও প্রতিবন্ধী ডেস্ক, পুলিশ কর্মকর্তাদের পৃথক কক্ষ, কনফারেন্স রুম, বেতার কক্ষ, সেবা গ্রহণকারীদের জন্য ওয়েটিং রুম, অস্ত্রাগার কক্ষ।
এ ছাড়া নারী ও পুরুষ আসামি এবং শিশু, নারী ও শিশু পুরুষের জন্য পৃথক চারটি হাজত খানা রয়েছে। ওই চার কক্ষে ৮০ জন আসামিকে রাখা যাবে।
থানা ভবনে থাকছে নারী ও শিশুদের ব্রেস্ট ফিডিংসহ প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা। যেখানে আসামি ও বাদীর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার