আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিযুক্ত হেড কনস্টেবল সন্দেহজনক অবস্থায় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। শুক্রবার (ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উত্তরপ্রদেশের মসৌলি থানার অন্তর্গত গ্রিন গার্ডেন সিটিতে অবস্থিত কনস্টেবলের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ গভীর রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে নিয়োজিত হয়। এসপি দীনেশ কুমার সিং বলেছেন, পিস্তল পরিষ্কার করার সময় গুলি চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সন্দীপ যাদব (৩৫), অযোধ্যা জেলার ইনায়াতপুর থানা এলাকার কদমপুর গ্রামের বাসিন্দা বেদ প্রকাশ যাদবের ছেলে। পুলিশ বিভাগে হেড কনস্টেবল ছিলেন ও গত পাঁচ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিযুক্ত ছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ লখনউ থেকে নিজের বাড়িতে পৌঁছান সন্দীপ। সন্ধ্যা সাতটার দিকে হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হলে আশপাশের লোকজনও হতবাক হয়ে যায়। স্ত্রী নিশার কান্না শুনে এলাকার লোকজন বাড়ির কক্ষে পৌঁছালে সন্দীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। গুলি লেগেছে তার কপালে। আনান-ফনান তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তার আগেই মৃত্যু হয়।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সিটি কোতোয়ালি থানার মসুলি থানার পুলিশ। সন্দীপের হাতে কার্তুজ ছিল এবং কাছেই পিস্তল ও ম্যাগাজিন পড়ে ছিল। পুলিশ বিষয়টি অযোধ্যায় বসবাসরত স্বজনদের জানায়। গভীর রাতে পৌঁছায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়।
এসপি দীনেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, পিস্তল পরিষ্কার করার সময় গুলি চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দীপ গত পাঁচ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিযুক্ত ছিলেন।
লখনউ থেকে বাড়িতে পৌঁছে সন্দীপ তার সঙ্গে পনির নিয়ে এসেছিলেন। তিনি তার মেয়ে অর্পিতাকে আদর করলেন এবং স্ত্রীকে পনিরের থালা বানাতে বললেন। স্ত্রীর ভাষ্যমতে, তিনি থালা-বাসন পরিষ্কার করছিলেন এমন সময় গুলির শব্দ হয়। স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে নিশা সংবেদনশীল ছিলেন। মহিলা পুলিশ সদস্যরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। বলা হচ্ছে, সন্দীপও খুব ভোরে লখনউ যাওয়ার কথা বলছিলেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার