স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবিপ্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল মেনে নির্বাচনে না এসে যারা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, তারাই আবার পুলিশ হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা মানববন্ধনের বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘তফশিল ঘোষণার পর থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় কাজ করছি। যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুন লাগানো, যানবাহন চলায় বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, রাজারবাগ হাসপাতালের গাড়ি ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। এখন আবার অবরোধ ডেকে নাশকতা করছে। একদিকে তারা নির্বাচনে আসে না।
অপরদিকে প্রতিদিনই ককটেল নিক্ষেপ করছে। অকেজো গাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে, মানুষের সম্পদ নষ্টে কাজ করছে। যারা নাশকতা মামলার আসামি, গাড়ি পোড়ানো, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশের ওপর হামলা এবং হত্যা মামলার আসামি, তাদের অনেককে আমরা গ্রেফতার করেছি। অনেকের নাম ও নম্বর আমরা পেয়েছি। তারা যেখানেই থাকুক তাদের গ্রেফতার করা হবে।’
বিএনপি যদি অনুমতি না নিয়ে মানববন্ধন করার চেষ্টা করে, তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- জানতে চাইলে ডিবির হারুন বলেন, ‘যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কোনো দল, এসব মামলার আসামিরা মানববন্ধন করতে চায়, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেফতারে কোনো বাধা নেই।’
বিএনপি মানববন্ধনের বিষয়ে ইসির অনুমতি নিয়েছে কিনা- জানতে চাইলে ডিবির হারুন বলেন, ‘অনুমতি নিয়েছে কিনা বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশিল মেনে তারা তো নির্বাচন করছে না, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের তোয়াক্কা করবে কেন। তারা নির্বাচন করলে অনুমতি নিতো। তারা নির্বাচন না করে নির্বাচনকে বানচাল ও বাধাগ্রস্ত করতে রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, বিভিন্ন কেপিআইভুক্ত স্থাপনায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে মানুষের যানমালের ক্ষতি যেন কেউ না করতে পারে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ যেন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা। পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত কাজ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা।’
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গত ৪ ডিসেম্বর বিকালে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার