হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধনে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিক, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তারা সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের শায়েস্তানগরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন বেলা ১১টার দিকে শহরের শায়েস্তানগর পয়েন্টে বিএনপির মানববন্ধন শুরু হয়। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা এসে মানববন্ধনে যোগ দেন। অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার শিপা, সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এনামুল হক সেলিম, কামাল উদ্দিন সেলিম, যুবদলের ভারপ্রপ্ত আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদসহ সিনিয়র নেতারা।
মানববন্ধনের প্রায় শেষ পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে মুখোশধারী কয়েকজন স্লোগান দিতে দিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও স্থানীয় দৈনিক প্রভাকরের স্টাফ রিপোর্টার আমির হামজা গুরুতর আহত হন। নিরঞ্জন গোস্বামী শুভকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্য আহতদের সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, ‘কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মানববন্ধন চলছিল। হঠাৎ কেন সংঘর্ষ শুরু হলো, কারা এটা সৃষ্টি করেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। সংঘর্ষে আমাদের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিম বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল। আওয়ামী অনুপ্রবেশকারীরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু করে। তাদের উদ্দেশ্য, পুলিশের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করা।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও মিছিল করছিল। এ সময় পুলিশ শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিল। হঠাৎ পুলিশের ওপর নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার