স্টাফ রিপোর্টার:
এবারের ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোনো উন্মুক্ত স্থান বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়াও যেকোনো ধরনের ডিজেপার্টি নিষিদ্ধ থাকবে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ডিএমপি সদরদপ্তরে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
পরদিন মঙ্গলবার ডিএমপি জানায়, সভায় সিদ্ধান্ত হয় থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ব্যতীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে।
সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে। এছাড়াও ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টিফার্স্ট নাইট উদ্যাপন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টিম ডিএমপি রাজধানীতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সম্মানিত নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া। সে লক্ষ্য নিয়ে একটি সংবিধান রচনা করেছিলেন তিনি। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেভাবে অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ধারণ, লালন ও পালন করার ব্যবস্থা করেছেন। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান হবে না।
সভায় ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম-বার, পিপিএম, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনোপ্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার