Daily Jalalabadi

  সিলেট     শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৮শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

admin

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪ | ০২:১১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ | ০২:১১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় এক মাসের জন্য ‌‘স্থিতাবস্থা’ করেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ রয়ের পর চূড়ান্ত শুনানি দেওয়া হবে।

এদিকে আপিল বিভাগের রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমরা কোনো ‘ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানতেছি না’।

তিনি বলেন, আমাদের এক দফা দাবি ‌‘সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫শতাংশ) কোটা রেখে সকল ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে।’

এ দাবি নির্বাহী বিভাগ থেকে যতক্ষণ না পূরণ করা হবে আমরা রাজপথে থাকব।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার কোটা নিয়ে রিটকারী পক্ষ নতুন আইনজীবী নিয়োগ করে বিশেষ চেম্বার আদালতে শুনানির আবেদন করে। পরে চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্যে আজকের দিন ধার্য করেন। যেহেতু এখনও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়নি সে হিসেবে বিশেষভাবে চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।

গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালত এ বিষয়ে শুনানি মুলতবি করেন।

সেদিন আরজির পরিপ্রেক্ষিতে মুলতবিতে আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দিয়েছিলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পাঁচ বছর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে আসে।

পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করার আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষণ করা হতো। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ছিল ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ কোটা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার

শেয়ার করুন