বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
বসতঘর, বাড়ি এবং রাস্তার পাশ ঘেঁষেই হাতে ছোঁয়া দূরত্বে টানানো হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন। সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিয়ানীবাজার জোনাল অফিসের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার এ রকম ৫ শতাধিক স্পটে ঝুঁকিপূর্ণ সঞ্চালন লাইন রয়েছে।
উপজেলার অন্তত: হাজারো বসতঘরের উপর দিয়েও বিদ্যুতের লাইন সঞ্চালন করা হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে টানানো এসব সঞ্চালন লাইন সরাতে গেলে নানা দূর্ভোগের মধ্যে পড়েন ভূক্তভোগী গ্রাহকরা।
আসন্ন বৃষ্টি ও বন্যা মৌসুমকে সামনে রেখে বসতঘর-বাড়ি এবং রাস্তার পাশের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রাহক। সরেজমিনে বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ও খুঁটি দেখা গেছে। লাইনগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। হাত দিলে নাগালে চলে আসছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের বিষয়ে অফিসে জানালে উল্টো নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এ অফিসে যথানিয়মে আবেদন করলেও বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে বাস করছেন সাধারণ মানুষ। উপজেলার বহু গ্রাহক ঘর-বাড়ির উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সরাতে পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে ঘুরছেন।
তবে বিদ্যুৎ অফিসের দাবী ভিন্ন। তারা বলছেন, সাদা কাগজে আবেদন করলে আমরা লাইন সরানোর কাজ শুরু করি। এক্ষেত্রে দেখা যায় জমিজমা নিয়ে বিরোধ, একজন-আরেকজনের জমির উপর দিয়ে লাইন টানতে না দেয়াসহ নানা কারণে একট ুবেশী সময় লাগে।
বিয়ানীবাজার জোনাল অফিসের এজিএম (কম) মাহমুদুল হাসান বলেন, যেসব লাইন ঝুঁকিপূর্ণ আছে, হাতের নাগালে আছে; সেগুলো সরাতে আবেদন করলে আমরা ব্যবস্থা নেই। তবে এক্ষেত্রে কিছু দাপ্তরিক নিয়ম মানতে হয়। সিলেট থেকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা এসেদেখার পর প্রতিদেন দেন। এরপর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।