
এডভোকেট মোঃ আমান উদ্দিন:
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়,
বি.এন.পি-এর স্থায়ী কমিটির প্রাজ্ঞ, বিচক্ষন, দুরদর্শী সম্পূর্ণ, সৎ, নিষ্ঠাবান, ত্যাগী, জনতার বলিষ্ট, কণ্ঠস্বর, পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিগনই বি.এন.পি. এর মত বিশাল দলের রাজনীতির সর্বোচ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে মনোনীত হয়ে থাকেন। চেয়ারম্যানের পরই সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে মহাসচিব দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে থাকেন। সুতরাং স্থায়ী কমিটির সদস্যগনের গুণাবলীর বাহিরে অতিরিক্ত গুনাবলী সম্পূর্ণ ব্যক্তিকে মহাসচিব নির্বাচিত কর হয়। মহাসচিব পদাদিকার বলে স্থায়ী কমিটির সদস্য। এক্ষেত্রে দল মহাসচিব নির্বাচনে ভূলে করেন নি। স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত বা তাৎক্ষনিক সমসাময়িক ঘঠনাবলী দলের পক্ষ থেকে জবাব বা সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় মহাসচিবকে।
প্রিয়,
হাই কমান্ড, আপনাদের নির্বাচিত মহাসচিব জনাব, মির্জা মোঃ ফখরুল ইসলাম আলমগীর অত্যন্ত সৎ, ভদ্র, নিষ্ঠাবান, ত্যাগী, শিক্ষিত, মার্জিত চরিত্রের অধিকারী: বিনয়ী ও সাবেক স্পিকার মির্জা গোলাম হাফিজ সাহেবের সুযোগ্য ভাতিজা একাধিকবার সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের অরাজকতার বিরুদ্ধে লড়াকু সৈনিক গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্টার সংগ্রামী নেতা, একাধিকবার কারাবরনকারী নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্টার মাঠের নির্যাতিত নেতা, লোভ লালসার উর্ধে থেকে দলকে সুকৌশলে ডিভাইড এন্ড রুলস পলিসি এর হাত থেকে তথা দল ভাঙ্গন থেকে সামনে থেকে দুর্দিনে নেতৃত্ব দিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রান সঞ্চার করেছেন। তিনি হচ্ছেন জনাব ফখরুল। কোটি জনতার প্রতিদ্বনি হচ্ছেন মির্জা মোঃ ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পারিবারিক শিক্ষায় শিক্ষিত রুচিশীল পরিবারে সন্তান মির্জা মোঃ ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভদ্র ও রুচিশীল রাজনীতি চর্চার মানষপুত্র মির্জা ফখরুল। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তাহার দলের সাধারণ সম্পাদককে শিখাতে চেয়েছেন রুচিশীল রাজনীতি চর্চা করার জন্য। কিন্ত ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তাহার দুষররা কথা শুনেনানি। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তাহার দলের লুটেরা অগনিত নেতা কর্মীদের বিপদে ফেলে স্বপরিবারে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রিয়,
নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিতের দাবার চাল বড়ই কঠিন। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার এক কাথায় দেশ ত্যাগ, আরেক কথায় ৩২ নং বাড়ী ধ্বংশ। এক্ষেত্রে বি.এন.পি এর হাই কমান্ড শতভাগ সফল। তাহাদের নির্বাচিত মহাসচিব কোন বেফার্স কাথা বলে দলকে কখনও বিভ্রত করেননি। প্রায় ১৭ বৎসর যাবৎ বি.এন.পি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বি.এন.পি ও সমমনাদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনের দাবীতে। অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মির্জা মোঃ ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় সিদ্ধান্তের আলোকে মহাসচিব অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট নির্বাচন দাবী তো কোন অপরাধ নহে।
প্রিয়,
নেতৃবৃন্দ, ৫ই আগষ্ট ২০২৪ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল হচ্ছে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার পলায়ন ও অন্তভর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা। জনাব, ফখরুল তো নিয়মিত দাবী করিতেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারে নিকট নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষনার জন্য। রোড ম্যাপ তো হতে পারে ২ বছর ৪ বছর ৬ বছর ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বি.এন.পি মহাসচিবতো আর ভূল কিছু বলেননি বা ডেড লাইন দেননি ঐ তারিখের মধ্যে নির্বাচন দিতেই হবে। কথিত ভূই ফোড় সংগঠন অর্বাচিনের মত অপব্যাখ্যা দিয়ে দল এবং মহাসচিবের প্রতি সাধারন জনগনের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়াইতেছেন। এক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে বিবৃতির মাধ্যমে দলের অবস্থান পরিস্কার করা।
প্রিয়,
দেশবাসী, বি.এন.পি হচ্ছে বহুদিলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা। বাকশাল গঠন করে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার পিতা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগ সহ বাংলাদেশে যে কয়টি দল ছিল, তা নিষিদ্ধ করে একমাত্র সংগঠন বাকশাল ছাড়া অন্য কোন সংগঠনের অস্থিত্ব থাকতে পারে না। বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর সব রাজনৈতিক দলের অধিকার ফিরিয়ে দেন। সেই দর্শন থেকে কি বি.এন.পি ফিরে আসার সুযোগ আছে? না, সুযোগ নেই। সুরতাং বি.এন.পি যদি বহুদলীয় গনন্ত্রের প্রবক্তা হয়, তাহলে কিভাবে যে কোন দল বা মতকে নিষিদ্ধের প্রস্তাব দিতে পারে? কোন অবস্থাতেই না। রাজনীতিতে কোন আবেগের স্থান নেই। যদি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং ৫ই আগষ্টের গনহত্যার কথা ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা দ্বারা সংগঠিত হয়েছে তা কিন্তু দেশবাসী দেখেছে। সাধারণ জনগনকে বোকা ভাবার সুযোগ নেই। চোখ, নাক, কান সবই খোলা। আইন করে দল নিষিদ্ধের প্রয়োজন হবে না। ভোটের মাধ্যমে এমনিতে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। মুসলীম লীগ বাংলাদেশ প্রতিষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছিল কিন্তু বর্তমানে কি মুসলীম লীগের অস্তিত্ব আছে? কথিপয় সংগঠন গোলা পানিতে মাছ শিকার করার পায়তারা করিতেছেন। তা কিন্তু সফল হবে না। আইন করে আজীবনের জন্য বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিরাপত্তা ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ৫ই আগষ্টের পর কি এসব আইনের কোন কার্যকারিতা আছে? না, কোন কার্যকারিতা নেই। একবিংশ শতাব্দীর মানুষজন ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তাহাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামোলীগ দ্বারা যে গুম, খুন, অপহরণ ও ক্রসফায়ারের ইতিহাস সৃষ্টি করা হয়েছে, হাজার বছরে ও বাংলাদেশের জনগন ভূলবে না। ভূলার কথাও নহে। সুতরাং ধম্রজাল দিয়ে সাময়িক সাধারণ জনগনকে বিভ্রান্ত করা যায় কিন্তু সফলতা পাওয়া যায় না। কথিপয় দলকে বলব সেই ধম্রজালের অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে। বাংলাদেশকে ডঃ ইউনুস স্যারের নেতৃত্বে যেভাবে বিশ্বের মানচিত্রে মর্যাদাশীল জাতিহিসাবে বিশ্বেবাসীর দরবারে গর্ব করে বলার সুযোগ হয়েছে আমরা ডঃ ইউনুস স্যারের দেশের লোক।
প্রিয়,
দেশ বরেন্য সাংবাদিক জনাব, পিনাকী ভট্রাচার্য, ইলিয়াছ হোসেন আপনারা সংবাদ কর্মী হিসাবে জগৎ বিখ্যাত। ৫ই অগষ্ট গনঅভ্যূত্থান এর মধ্যমে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাছিনা ও তাহাঁর দোষরদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। জনগনকে উদ্ভেদ্ধ করেছেন। খ্যাতি অর্জিন করেছেন। গঠনমূলক সমালোচনা করুন। ফ্যাসিষ্টমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে সু-পরামর্শ দিয়ে ডঃ ইউনুস স্যারের হাতকে শক্তিশালী করুন। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ডঃ পিনাকী ভট্রাচার্য গনজাগরন মঞ্চের ইমরান এইচ সরকারের সাথে সেকন্ড ইন কমান্ড হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই মঞ্চের প্রধান আকর্ষন লাকী আক্তার। স্লোগান কন্য হিসাবে পরিচিত। সেই জৌলুস কিন্তু বেশীদিন ধরে রাখাতে পারেননি। রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়া বড়ই কঠিন কাজ। অনুরোধ করব খ্যাতিমান রাজনীতিবিদদের ব্যক্তি চরিত্রে আঘাত করবেন না। দূষে গুনে মানুষ। দেশের কোন ক্ষতি হয় এ চিন্তা ধারা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। গঠন মূলক ভাল পরামর্শ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া প্রস্তাব দিন। ব্যাঙ্গাত্নকভাবে কাউকে আপমান করা কোন ধর্মেই স্বীকৃতি দেয় নাই। এসব রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়ে নেতা কর্মীরা তাহাঁদের কথা শুনেন। যেখানে আপনি আমি বা আমরা দেশবাসীকে ডাক দিলে কি সাধারণ জনগন উপস্থিত হবে? হয়ত হাতে গোনা কয়কজন উপস্থিত হতে ও পারেন সুতরাং সাবধান হয়ে কথা বলা উত্তম।
লেখক, সভাপতি, সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বিয়ানীবাজার, সিলেট।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার