
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯ জনকে দুই বছর করে জেল দেওয়া হয়। অন্য একজন ১৮ বছরের কম হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ১টা পর্যন্ত টাস্কফোর্সের এই অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন নাহার এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
আটককৃতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দলইরগাঁও গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীম উদ্দিন, নতুন মেঘারগাঁও গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে মকবুল হোসেন, দক্ষিণ কলাবাড়ী গ্রামের সনর আলীর ছেলে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কালাইরাগ গ্রামের হাজী আব্দুল মন্নানের ছেলে ফুল মিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলার লাকী গ্রামের আব্দুল রমিধের ছেলে ইকবাল মাহমুদ, মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ কিবরিয়া আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বাসাকর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত আলী হোসেনের ছেলে আলী নূর, এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে মোহাম্মদ জজ মিয়া।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, সকাল ৬টায় টাস্কফোর্স অভিযান চালানোর পর কয়েকশত পাথর লুটপাটকারী সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের উপর আক্রমণ করতে চেয়েছিল। এসময় তারা পাথর দিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকে আভিযানিক দলের উপর। পরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে পাথর লুটপাটকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এসময় ২০টি পাথর বহনকারী নৌকা ধ্বংস করা হয় এবং আরো ১৮টি নৌকা জব্দ করে বিজিবির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। পরদিন বুধবার সকাল থেকে কালাইরাগ এলাকা দিয়ে নৌকাযোগে পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর থেকে পাথর লুটপাট শুরু হয়। দিনে ও রাতে বাধাহীন ভাবে সহস্রাধিক ইঞ্জিন চালিত ও বারকি নৌকা দিয়ে লুট হচ্ছে এই পাথর।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুননাহার বলেন, বালু-পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 994 বার