
স্টাফ রিপোর্টার:
৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুরু হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাধানে পরিচালিত এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক সহিংসতা, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। আড়াই মাসে এই অভিযানে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৩শ ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১শ ৭৭ জনকে এবং অন্যান্য বিভিন্ন অভিযোগে ১শ ৭৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
অভিযানে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. আজম খান, যিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগেরও সদস্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেরও সহসভাপতি অয়ন দাস, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পাসে একাধিক ঘটনায় আলোচনায় ছিলেন। এছাড়াও গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তালুকদার, মহানগর যুবলীগের কর্মী অন্তর খান এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ আহমদ। যুবলীগের আরও কয়েকজন কর্মী যেমন ফুল মিয়া ও সাহান আহমদকেও এই অভিযানের আওতায় আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানে গ্রেফতার হওয়া অনেকেই আগেই বিভিন্ন মামলার পলাতক ছিলেন, আবার কেউ কেউ সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতা, আগুন সন্ত্রাস, কিংবা জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এই অভিযান সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার উদ্দেশ্যেও পরিচালিত হচ্ছে। যারা অপরাধে যুক্ত, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার