
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সংখ্যা ১১টি। এর বাইরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কিংবা জাতীয়তাবাদী নাম ব্যাবহার করে যেসব সংগঠন গজিয়ে ওঠেছে সেগুলোর সাথে বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই।
ভুঁইফোড় এসব সংগঠনের সাথে দলীয় কোন নেতাকর্মী নিজেদেরকে জড়ালে কিংবা এসব সংগঠনের কোন কর্মসূচিতে অংশ নিলে সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
সোমবার (৫ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই হুশিয়ারি দেন তারা। বিবৃতিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং ১১টি সহযোগী অঙ্গ সংগঠন যেমন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, শ্রমিকদল ও অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, কৃষক দল, মৎসজীবীদল, তাঁতীদল, ওলামাদল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস), মহিলাদল। উল্লেখিত তালিকার বাইরে বিএনপির কোনো অনুমোদিত সংগঠন নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া অথবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অথবা ‘জাতীয়তাবাদী’ নাম সম্পৃক্ত করে কোনো ভূঁইফোড় সংগঠনের সাথে অথবা কর্মসূচিতে দলের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে অংশগ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন- ‘বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ কোনো সংগঠন করলে এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী নামে কোনো সংগঠন করলে ও দলের কোনো নেতাকর্মী যদি ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে কোনো কর্মসূচি পালনে যান তা হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অন্যদিকে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্যে করছি কিছু দিন যাবৎ সিলেটের বিভিন্ন মার্কেট ও রাস্তার পাশে বিভিন্নস্থানে বিএনপি ও তার সহযোগি এবং অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অবস্থান নিয়ে বসে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করছেন। এসকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। নির্দেশ পাওয়ার পর যদি কারো বিরুদ্ধে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায় দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।’
প্রসঙ্গত, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো হচ্ছে ছাত্রদল, শ্রমিকদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, কৃষক দল, মৎসজীবীদল, তাঁতীদল, ওলামাদল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ও মহিলাদল।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার