
স্টাফ রিপোর্টার:
পাহেলগামে নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করে চালানো জঙ্গি হামলার জবাবে বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে মধ্যরাতে চালানো এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে একযোগে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান, আর দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা।
এর মধ্যেই সীমান্তঘেঁষা বেশ কিছু বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, পাশাপাশি দুই দেশই যেন প্রস্তুত সামরিক সংঘাতের জন্য। এই অবস্থায় আইপিএল ২০২৫-এর ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
ভারতের একাধিক এয়ারস্ট্রাইক চালানোর পর সীমান্তের কাছাকাছি বেশ কিছু বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোটের বিমানবন্দরগুলো ১০ মে সকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এই কারণে কিছু আইপিএল দলের সফরসূচি প্রভাবিত হতে পারে। যেমন পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস বর্তমানে ধর্মশালায়, যেখানে ৮ মে তাদের ম্যাচ রয়েছে। ১১ মে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সেখানে। তবে এই ভ্রমণ পরিকল্পনা ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পরিবর্তিত হতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই আইপিএল থামিয়ে দেওয়ার। ভারতের জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া তথ্যে বিসিসিআই সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তে উত্তেজনা থাকলেও টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল বোর্ড। আগের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই ম্যাচগুলো চলবে।
তবে বোর্ড এ-ও বলছে, পরিস্থিতির ওপর তারা কড়া নজর রাখছে। যদি নিরাপত্তা পরিস্থিতি কোনো পর্যায়ে বদলায়, তখন সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকার থেকে যেসব পরামর্শ আসবে, সেই অনুযায়ীই আইপিএল পরিচালনা করা হবে। খেলোয়াড় ও দর্শকদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই বোর্ড সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যতই জটিল হোক না কেন, আইপিএল যেন নির্বিঘ্নে চলে সেটা নিশ্চিত করতে চায় বিসিসিআই। তবে ভবিষ্যতের কথা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, সবই নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার