নিউজ ডেস্ক:
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন 'বুনিয়ান-উন-মারসুস' নামে একটি বৃহৎ পরিসরে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে ২০টিরও বেশি ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার (১০ মে) জিও নিউজকে ইসলামাবাদের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইসলামাবাদ এই হামলাকে 'সুনির্দিষ্ট এবং আনুপাতিক' হিসাবে বর্ণনা করেছে। কর্মকর্তা বলেন, হামলাগুলো নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের মধ্যে ভারতের অব্যাহত আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে পরিচালিত হয়েছে।
গত ৫ ও ৬ মে রাতে পাকিস্তানের একাধিক শহরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নতুন অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পর এই হামলা চালালো ইসলামাবাদ।
ভারতের বিরুদ্ধে অভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত শীর্ষ কর্মকর্তারা জিও নিউজকে 'উচ্চ-মূল্যবান ভারতীয় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে' আঘাত করার বিস্তারিত জানিয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি নিশ্চিত করেন, বিয়াস এলাকায় একটি 'ব্রহ্মোস' ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারে সফলভাবে আঘাত এবং এটি ধ্বংস করা হয়েছে। উধমপুর এলাকায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানা হয় এবং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়। উধমপুর বিমান ঘাঁটির কাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়। একটি নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঠানকোটে সামরিক বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলন্ধর এলাকায় চলমান অভিযানের মধ্যে জলন্ধর বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
কর্মকর্তা বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে গুজরাট অঞ্চলের একাধিক বিমান ঘাঁটি এবং সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। দিল্লি অঞ্চলে হিসারের কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে দিল্লির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
রাজস্থানে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত করা হয়েছে; সেখানকার ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন চলছে। শ্রীনগরের বিমানঘাঁটির লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে; প্রাথমিক প্রতিবেদনে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সামরিক সদস্য হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জিও টিভির খবর অনুসারে, নিশ্চিত গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, চণ্ডীগড়ে একটি প্রধান অস্ত্র ডিপোতে হামলা চালানো হয়েছে এবং তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে 'S-400' বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। সিরসা শহরের বিমানঘাঁটিও আঘাত হেনেছে।
এছাড়া উরিতে ভারতীয় সেনা ব্রিগেডের সদর দপ্তর এবং সরবরাহ ডিপোতে হামলা চালানো হয়েছে। দেহরঙ্গিয়ারিতে ভারতীয় আর্টিলারি পজিশনে আঘাত করা হয়েছে। রাজৌরিতে সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং হালওয়ারা এলাকায় বিমান বাহিনীর স্টেশনেও আঘাত করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বেশ কয়েকটি ভারতীয় পোস্টে হামলা চালানো হয়েছে। কাশ্মীরে ভারতীয় গোয়েন্দা কেন্দ্রে হামলা হয়েছে এবং বাথিন্ডা বিমানঘাঁটিতেও আঘাত হেনেছে।
পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে বলেন, বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু এড়িয়ে ভারতের আক্রমণাত্মক ক্ষমতা হ্রাস করার লক্ষ্যে 'পরিমাপিত প্রতিশোধ'-এর কার্যকরী কাঠামোর অধীনে এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করে। ভারতীয় আগ্রাসনে সরাসরি অবদান রাখা সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে সমস্ত হামলা সাবধানতার সঙ্গে বেছে নেওয়া হয়।
জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অভিযানের ফলে উত্তরাঞ্চলীয় সেক্টরজুড়ে ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানা গেছে। স্যাটেলাইট চিত্র এবং রিয়েল-টাইম নজরদারিতে সম্পদ এবং স্থাপনার উল্লেখযোগ্য ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
সাইবার আক্রমণও চলছে সমানতালে এদিকে, ডিজিটাল আক্রমণে পাকিস্তান ভারতীয় অবকাঠামোর ওপর একটি বড় সাইবার হামলা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
জিও টিভি জানিয়েছে, ভারতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে সাইবার আক্রমণের ফলে ভারতের ৭০% বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মহারাষ্ট্রের গ্রিড বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিজেপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, অপরাধ গবেষণা তদন্ত সংস্থার ওয়েবসাইট, মহানগর টেলিকমিউনিকেশন কর্পোরেশন লিমিটেড (এমটিসিএল) ওয়েবসাইট, ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (BEML) ওয়েবসাইট, অল ইন্ডিয়া নেভাল টেকনিক্যাল সুপারভাইজারি স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক উপগ্রহ আটকে (ব্লক করে) দেওয়া হয়।
'অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস'-এর অধীনে পাকিস্তানের সামরিক অভিযান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উত্তেজনার ঘটনা। ইসলামাবাদ বলেছে, উত্তেজনা কমানোর জন্য তারা উন্মুক্ত, তবে শত্রুতা বন্ধ করার দায়িত্ব ভারতের।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyjalalabadi@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।